স্টাফ রিপোর্টার :
ট্রাফিক পুলিশ সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে, সিএনজি চালিত অটোরিক্সা রাস্তায় বেরোলেই আইনের দোহাই দিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বহন, রং পার্কিং বা ড্রাইভিং লাইসেন্স ও কাগজপত্রের বিভিন্ন জটিলতায় কেবল সিএনজি চালিত অটোরিক্সার বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে।’ এমন অভিযোগ করেছেন সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মালিক ও শ্রমিকদের সংগঠন সিলেট জেলা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ। সোমবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন তারা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকারিয়া আহমদ।
এ সময় তিনি বলেন, মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব একটু নিম্নমুখী হওয়ায় সরকার গত ১১ আগস্ট থেকে প্রায় সকল কিছুই উন্মুক্ত করে দিয়েছে। সেই থেকে সিলেটে সকল ধরণের যানবাহন চলাচল উন্মুক্ত হয়েছে। দীর্ঘদিন লকডাউন এবং বিশেষ ছুটির কারণে চরম অর্থনৈতিক সংকটে থাকা, পরিবার, পরিজন নিয়ে না খেয়ে থাকা শ্রমজীবী মানুষরা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা নিয়ে রাস্তায় রুটি-রুজগারের জন্য বের হয়। তখন থেকেই সিলেটের পুলিশ প্রশাসন সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে ট্রাফিক পুলিশ ১৫ টি চেকপোষ্টের মাধ্যমে মামলা ও জরিমানা করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। সরকারি ছুটি ও লকডাউন ঘোষণার কারণে অনেক মালিক ও শ্রমিক তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও কাগজপত্র হালনাগাদ করে নিতে পারেননি, পুলিশ সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে শ্রমিকদের উপর যে অবিচার ও জুলুম করছে, তা সিলেটের ইতিহাসে শুধু নজিরবিহীনই নয় এটা প্রতিহিংসা পরায়ণতার চরম একটি দৃষ্টান্ত।
তিনি বলেন, আমরা সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুসারে এখনও অনেক জায়গায় কম ভাড়া নিচ্ছি, কোন জায়গায়ই প্রজ্ঞাপনের বাইরে ভাড়া নেওয়ার কোন হদিস নেই। এ সময় তিনি ব্যাটারি চালিত রিক্সা, অটোবাইক, মোটরবাইক, টমটম, প্রাইভেট কার, লাইটেস দিয়ে শেয়ারে যাত্রি পরিবহন করছে। এসব অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিলেটের পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া ২০১৮ সালের সড়ক আইনের পূর্ণাঙ্গ সংশোধন হওয়ার আগ পর্যন্ত এবং বিধিমালা প্রণয়নের আগ পর্যন্ত এই আইনের প্রয়োগ বন্ধ করারও দাবি জানান।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির সভাপিত ও সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে ৬ দফা দাবি নিয়ে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। যার অনুলিপি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ সিলেটের বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। এসব দাবি বাস্তবায়নে সিলেটের প্রশাসনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শাহ মো. দেলোয়ার, মো. খলিল খান, মো. মতছির আলী, আনোয়ার হোসেন, ইকবাল আহমদ চৌধুরী, আজাদ মিয়া, মো. সাহাব উদ্দিন, ইকবাল আহমদ প্রমুখ।