শেওলা কাস্টমস্ অফিস পর্যন্ত সড়ক মেরামতের দাবী সি এন্ড এফ এজেন্ট গ্রুপের

17

দেশের আমদানী-রপ্তানীতে এক উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে সিলেটের শেওলা স্থল বন্দর। এই স্থল বন্দর থেকে সরকার প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় করে থাকে। তবে শেওলা ব্রীজ থেকে কাস্টমস্ অফিস পর্যন্ত সড়কটি ভাঙ্গা থাকায় ক’দিন পরপর ব্যহত হচ্ছে এই স্থল বন্দরের আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম। সরকার হারাচ্ছে প্রচুর রাজস্ব।
এদিকে, শেওলা ব্রীজ থেকে কাস্টমস্ অফিস পর্যন্ত সড়কটি মেরামতের জন্য বারবার দাবী জানিয়ে আসছে সিলেট জেলা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়াডিং এজেন্ট গ্রুপ। তাদের দাবী এই সড়কটিকে ভারী যানবাহন চলাচল উপযোগী করে তোলার জন্য।
সিলেট জেলা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়াডিং এজেন্ট গ্রুপ নেতৃবৃন্দ বুধবার (২৫ মে) সরেজমিনে সড়কটি পরিদর্শন শেষে নেতৃবৃন্দ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি কিছুদিন পরপরই যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতে ব্যহত হয় আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম। তারা এই সড়কটি আরসিসি ঢালাই করে দেয়ার দাবী জানান।
সিলেট জেলা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়াডিং এজেন্ট গ্রুপের সাবেক সভাপতি শাহ আলম বলেন, সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য প্রাচীন এই স্থল বন্দরকে উন্নত করে গড়ে তোলতে হবে। তার জন্য সবার আগে রাস্তটির উন্নয়ন প্রয়োজন।
সিলেট জেলা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়াডিং এজেন্ট গ্রুপের সভাপতি মোঃ বশিরুর হক বলেন, সরকার প্রতি বছর এই স্থল বন্দর থেকে প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব আয় করে থাকে, এই আয় দ্বিগুণ হতো যদি সড়কটি ভালো হতো। এজন্য সড়কটি অতি দ্রুত মেরামত করতে তিনি সড়ক বিভাগসহ সরকারের প্রতি দাবী জানান।
এসময় সিলেটের শেওলা স্থল বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম তাদের দাবীর প্রতি একাত্বতা প্রকাশ করে বলেন, সরকারী রাজস্ব বাড়ানোর স্বার্থে এই সড়কটি মেরামত করা জরুরী।
এছাড়াও পরিদর্শনকালে, সিলেট জেলা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়াডিং এজেন্ট গ্রুপের সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কালাম, সুব্রত ধর চৌধুরী (পার্থ), সদস্য সৈয়দ শাকিরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক অজি মোঃ কাওছার, অর্থ সম্পাদক মো আব্দুর রকিব প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি