কাজিরবাজার ডেস্ক :
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১৩ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে জান্তা সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আলোচকরা। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট হাউজ অব কমন্সে ‘রোহিঙ্গা সংকটের পাঁচ বছর, ন্যায় বিচার এবং টেকসই প্রত্যাবর্তনের প্রতি নতুন অঙ্গীকার’ শীর্ষক সেমিনারে আলোচকরা এ আহ্বান জানান। ২৪ সোমবার লন্ডন সময় বেলা ১১টা থেকে একটা পর্যন্ত এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম এবং অলপার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের ভাইস-চেয়ার ড.টম হান্ট এমপির আমন্ত্রণে হাউস অব কমন্সের পোর্টকুলিস হাউসের অ্যাটলি স্যুটেতে (এসডবলিও-১এ -২এলডবলিও) অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ লর্ড সভার সদস্য মধ্যপ্রাচ্য-দক্ষিণ এশিয়া ও জাতিসংঘ বিষয়ক মন্ত্রী লর্ড আহমেদ উইম্বলডন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
এতে আরও অংশ নেন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা নুনা তাসনিম। আলোচনায় অংশ নেন অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের ভাইর চেয়ার টম হান্ন এমপি, অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের চেয়ার রাইট অন দ্য রোহিঙ্গা ইউকে রুশনারা আলী এমপি, বাংলাদেশের পরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিররয়ার আলম, শ্যাডো মিনিস্টার ফর এশিয়া ইন দ্য প্যাসিফিক ক্যাথরিন ওয়েস্ট এমপি, ব্রিটনে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার রালপা গোডলেট, সলিসিটর জেনারেল অব দি গাম্বিয়া মি. হোসাইন থমাছ্ছি ব্রিটেনে নিযুক্ত মালদ্বীপের হাইকমিশনার মিস ফারাহ ফাইয়াজ।
এর পর প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া হাছিনা বেগম, জাতিসংঘ হিউম্যান রাইট কাউন্সিলের মিয়ানমারে তদন্ত কমিশনের সাবেক সদস্য এ্যানথনিয়া মোলবে, জেসিকে কাউন্সিল গাম্বিয়ার প্রফেসার ক্যায়াস আকাভান, হেড অব এশিয়া জাস্টিজ কলোনিয়ান এজেসি সেক্রেটারিয়েট ব্যাংকক ড. পিয়া পিল্লাই, শ্যাডো মিনিস্টার আফজাল খান এমপি, মি. থমাস অজেয়া কুইনটানা জাতি সংঘের সাবেক প্রতিনিধি হিউম্যান রাইট ইন মিয়ানমার ও প্রফেসার ড. ইমতিয়াজ আহমদ সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এমপি বলেন, বিপুল জনসংখ্যর দেশ বালাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী আমাদের জন্য একটি বাড়তি সমস্যা, বাংলাদেশ সরকার এদের শিক্ষা খাদ্য চিকিৎসাসহ সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া এদের জন্ম হারও অনেক বেশি প্রতিদিনই বাড়ছে রোহিঙ্গার সংখ্যা।
লর্ড আহমেদ বলেন, বাংলাদশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সত্যিই মাদার অব হিউম্যানিটি তিনি রোহিঙ্গাদের শুধু আশ্রয়িই দেননি তাদের উন্নত জীবনেরও ব্যবস্থা করছেন। বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশের পক্ষে এ বোঝা বহন করা সত্যিই কষ্টদায়ক, রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবর্তনে বিশ্বসম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে।
রোশনারা আলী এমপি ও ক্যাথরিন ওয়েস্ট এমপি তাদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের কথা তুলে ধরে বলেন বিরাট এই জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবর্তনে বিশ্বসম্প্রদায়ের এগিয়ে আসতে হবে সেই সাথে বিশ্ববাসীকে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে হবে।