ওসমানী বিমানবন্দরে দুটি ফ্লাইট বাতিল ॥ ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সিলেটে সারাদিন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি

10
প্রতিকূল আবহাওয়াও ঘর থেকে বের হতে হয়েছে রুজি-রুটির ধান্ধায়। ছবি- মামুন হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার :
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব সিলেটে সারাদিন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও শিতল বাতাস প্রভাহিত হয়েছে। গত রবিবার শেষ রাত থেকে শুরু হওয়া গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি গতকাল সোমবারও অব্যাহত ছিলো। মাঝে মধ্যে বেড়েছে বৃষ্টি ও বাতাসের গতিবেগ। হিম বাতাসের কারণে জনজীবনে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। রাস্তাঘাটে যানচলাচলও ছিল সীমিত।
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি বাতাস বইতে শুরু করে। সোমবার সারাদিন সুর্যের দেখা মিলেনি এ অঞ্চলে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সিলেটের অধিকাংশ স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে। একই সাথে তাপমাত্রাও কমেছে। আজ বুধবার সিলেট অঞ্চলে একই অবস্থা থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
এদিকে সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাবে। সিলেট ও চট্টগ্রাম এলাকায় আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানানো হয়।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, ভারী বর্ষণের ফলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি হতে পারে। বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কিছু স্থানে আকস্মিক বন্যা এবং পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মনু, খোয়াই, সুরমা-কুশিয়ারা নদ-নদীর পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। সময় বিশেষে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’র কারণে বাংলাদেশ বিমানের সিলেট-ঢাকা দুটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট উড়াল দেয়নি। সোমবার রাত সাড়ে ৯টা ও ১০টা ১০ মিনিটে সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিলো। আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় সে দুটি ফ্লাইট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ বিমান।