কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালাইরাগ ও নাজিরগাও গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের উপর বিজিবি কর্তৃক নির্যাতন ও হয়রানির অভিযোগে সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। (১৯ অক্টোবর) বুধবার সকালে এই অভিযোগ দাখিল করেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালাইরাগ নাজিরগাও গ্রামের বাসিন্দা মো: মাহমুদ হোসেন জিহাদ।
অভিযোগে উল্লেখ্য করেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালাইরাগ ও নাজিরগাঁও গ্রামের ভিতরের রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন গভীর রাতে অবৈধভাবে সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে মৃত ছোয়াব আলীর পুত্র বিলাল মিয়া ও মৃত মনফর আলীর পুত্র কালাম মিয়া সহ অজ্ঞাতনামা অবৈধ পাথর উত্তোলন করে আসছেন। আমার ঘরের পাশ দিয়ে পাওয়ার টিলার দিয়ে পাথর পরিবহন গাড়ির বিকট শব্দের কারণে আমার ও আশেপাশের লোকজনের ব্যাপক ক্ষতিসাধনের সম্মুখী হতে হয়। আমি এসব অবৈধ কাজে বাধা দেওয়ার কারণে ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং তারিখে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালাইরাগ বিজিবি ক্যাম্পের ভিআইপি মামুন তার সঙ্গীরা আমাকে ও আমার ছোট ভাই এনাম হোসেনকে বিজিবি ক্যাম্পের ভিতরে নিয়ে ব্যাধরক মারপিট করে। তাদের আঘাতের কারণে আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা ও চলাফেরার নানা অসুবিধা হচ্ছে। বিশেষভাবে আমার মাথায় আঘাতের কারণে আমি ঠিক মতো চলাফেরা করতে পারছি না। এছাড়াও আমাকে বিজিবি ক্যাম্পের অন্যরা বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। ঘটনার পরে আমি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ সেপ্টেম্বর চিকিৎসা নেই। ১৭ অক্টোবর ২০২২ইং তারিখে বিকাল আনুমানিক ৪টার দিকে আমার বাড়ির সামনে এসে বিজিবি সদস্য কাদের ও শাহিন (বুকে নাম প্লেট) আমাকে ডেকে নিয়ে ঘরের বাইরে বের করে আমাকে জিজ্ঞেস করে তুমি গতকাল কোথায় ছিলে ও তোমার সাথে কে কে ছিলো। আমি তাদেরকে বলি আমি সিলেটের জিন্দাবাজারস্থ মুক্তিযোদ্ধা সংসদে আমার দাদিকে নিয়ে আমার মৃত দাদার মুক্তিযোদ্ধা ভাতা সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে আসি। এছাড়াও আমাকে ডেকে নিয়ে বিজিবি সদস্যরা তাদের মোবাইল দ্বারা আমার ছবি তুলে ও আমাকে বাড়াবাড়ি না করার জন্য হুমকি দিয়ে আসে এবং আমাকে বাড়াবাড়ি করলে জেল ডুকিয়ে দেওয়া হুমকি দেয়। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বিজ্ঞপ্তি