কাজিরবাজার ডেস্ক :
রবিবার থেকে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হওয়ার কথা পাম তেল ও চিনি। কিন্তু বাস্তবে সেটি হয়নি। খুচরা বাজারে এখনো বাড়তি দামে পণ্যগুলো বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। আর প্যাকেটজাত চিনির দাম কোম্পানিভেদে ৯৫ থেকে ১০২ টাকা। এদিকে বাজারে প্রতি লিটার খোলা পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১৩৮ থেকে ১৪০ টাকায়।
যদিও বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনি সর্বোচ্চ ৮৯ টাকা, খোলা চিনি ৮৪ টাকা এবং পাম অয়েলের লিটার ১৩৩ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটি কার্যকর হয়নি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম কমার পরিবর্তে চিনির দাম বস্তাপ্রতি ১০০ টাকা বেড়েছে। ৪ হাজার ২০০ টাকার চিনির বস্তা শনিবার কিনতে হয়েছে ৪ হাজার ৩০০ টাকায়। প্রতি কেজি চিনির কেনা দাম পড়ছে ৮৬ টাকা। তার সঙ্গে রয়েছে যাতায়াত খরচ।
মালিবাগ বাজারে এরশাদ স্টোরের কর্ণধার জামাল ভূঁইয়া বলেন, দাম কমার কথা, উল্টো বাড়ছে। আমরা যে দামে কিনছি, সে দামে বিক্রি করছি। বেশি কেনা থাকলে লোকসান দিয়ে কম দামে বিক্রি করা সম্ভব না।
আরেক বিক্রেতা বলেন, সরকার যে দাম নির্ধারণ করেছে সেটা কার্যকর করতে হলে মিল থেকে কমাতে হবে। আজ দাম কমলে সেটা খুচরা বাজারে আসতে আরও এক সপ্তাহ লাগবে। এরপর হয়তো কমবে।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সর্বশেষ তথ্য মতে, রাজধানীতে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা।
আর খোলা পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১২৬ থেকে ১৩৫ টাকা। সুপার পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা লিটারে।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার পাম সুপার খোলা তেল মিলগেট থেকে ১২৮ টাকায় কিনে পরিবেশকরা ১৩০ টাকায় বিক্রি করবেন। আর খুচরা পর্যায়ে তা বিক্রি হবে ১৩৩ টাকায়।
প্রতি কেজি খোলা চিনি মিলগেটে ৭৯ টাকায় কিনে পরিবেশক পর্যায়ে ৮১ টাকা এবং খুচরা বিক্রি হবে ৮৪ টাকা। আর প্যাকেটজাত চিনি মিলগেটে ৮২ টাকায় কিনে পরিবেশকরা বিক্রি করবেন ৮৪ টাকায়। ভোক্তাদের কাছে চিনি বিক্রি হবে ৮৯ টাকায়।