২০২২-২৩ অর্থবছর ॥ জুলাই-আগষ্ট দুই মাসে ৩৮৩৭ কোটি টাকা ঋণ পেলো কৃষক

11

কাজিরবাজার ডেস্ক :
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগষ্ট) ব্যাংকগুলো ৩ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকার কৃষিঋণ বিতরণ করেছে। যা গত ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ে চেয়ে ১ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা বা ৪৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে এ ঋণ বিতরণের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি কৃষি। কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে ও বিশ্ব পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে কৃষির গুরুত্ব অনেক বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও কৃষি খাতে প্রয়োজনীয় অর্থায়নের মাধ্যমে সহায়তা করতে সচেষ্ট রয়েছে। চলতি অর্থবছরে কৃষিঋণের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। ঋণ বিতরণের এ ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষিখাতে ৩০ হাজার ৯১১ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর। যা গত অর্থবছরে ছিল ২৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চলতি অর্থবছরে ৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি ঋণ বিতরণ করবে দেশের ব্যাংকগুলো।
চলতি বছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে কৃষি খাতে ঋণ বিতরণ হয়েছে ১ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা। আগষ্টে এ ঋণের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ১৭৩ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত আটটি ব্যাংকে কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা। এরমধ্যে প্রথম দুই মাসে লক্ষ্যমাত্রার ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ বিতরণ হয়েছে। বেসরকারি ৪১টি ব্যাংকের কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা। আলোচিত সময়ে ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণ করেছে ১৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) ৪ হাজার ১২৩ কোটি টাকার ঋণ পরিশোধ করেছেন কৃষকরা। গত বছরের একই সময়ে ঋণ পরিশোধ হয়েছিল ৩ হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা। সে হিসাবে আলোচিত সময়ে ঋণ আদায় বেড়েছে ৭৫৪ কোটি টাকা।
বর্তমানে ব্যাংক খাতে কৃষিঋণের পরিমাণ ৫০ হাজার ২৩৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে আগষ্ট পর্যন্ত কৃষিতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৪৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৮ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।
কৃষিঋণের মধ্যে দুভাগে অর্থাৎ শস্য ও নন-ফার্ম (গবাদিপশু ও মৎস্য খামার) খাতে ঋণ দেওয়া হয়। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে শস্যে ঋণ বিতরণ ৩ হাজার ২৪১ কোটি টাকা আর নন-ফার্মে ঋণ বিতরণ হয়েছে ৫৯২ কোটি টাকা।