সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় হুইপ এড.পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, প্রতিবছরের বন্যায় হাওরের তলদেশ ভরাট হয়ে যাচ্ছে। সরকার যদি ভরাট হয়ে যাওয়া জলমহাল গুলো খনন করে দেয় তাহলে মাছ চাষ বৃদ্ধি পাবে। আমাদের মৎস্যজীবী যারা আছেন তাদের কে কোনা জালদিয়ে ছোট মাছ মারা থেকে বিরত ও সচেতন থাকতে হবে। মৎস্য আমাদের দেশের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। সুনামগঞ্জ মাছের এলাকা ও হাওর বেষ্টিত এই জেলা। সুনামগঞ্জে মিঠা পানির মাছ অন্য জায়গার তুলনায় খুব সুস্বাদু। বর্তমানে আমাদের হাওর জলায়শের মৎস্য সম্পদ হুমকির মুখে। তিনি আরো বলেন, জলমহাল যারা ইজারা নেন তারা এই ইজারার নীতিমালা অনুসরণ করে হাওর ব্যবস্থাপনা করতে হবে। হাওর ব্যবস্থাপনা নীতিমালা সেটি নিশ্চিত করতে পারলে মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধি পাবে। উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় যারা ইজারা নিয়ে থাকেন জলমহালগুলো তারা যদি এই উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন তাহলে মৎস্য সম্পদ বাড়তে থাকবে। মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জে ২০২২-২৩ আর্থিক সালের মৎস্য অধিদপ্তরের রাজস্ব বাজেটের আওতায় পোনা মাছ অবমুক্ত করার সময় এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল, জেলা মৎস্য অফিসার সুনীল মন্ডল, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আবুল হোসেন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার সীমা রাণী বিশ্বাস প্রমুখ। উপজেলা মৎস্য অফিসের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ পুকুর ও দেখার হাওরসহ বিভিন্ন জায়গায় ৪০৩ কেজি পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়। এ সময় সুনামগঞ্জ জেলা মৎস্য অফিসার সুনীল মন্ডল জানান ২০২২-২৩ আর্থিক সালের মৎস্য অধিদপ্তরের রাজস্ব বাজেটের আওতায় সুনামগঞ্জ জেলার জন্য ১৭ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৮ টি উপজেলায় সাড়ে তিন হাজার কেজি পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে। ৩ টি উপজেলায় এখন ও পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়নি।