কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের বীরদল দীঘিরপার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ফারুক আহমদ’কে পাঠদান অবস্থায় শ্রেণি কক্ষে ঢুকে মারধরের ঘটনায় স্থানীয় সোনাপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর পুত্র মুজিবুর রহমান (৪০) কে আটক করেছে থানা পুলিশ।
জানা যায় সহকারী শিক্ষক ফারুক আহমদ দুপুর ১২ টার দিকে দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠদানের সময় উক্ত শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থী মাহিয়ানুল ইসলাম (১০) শ্রেণি কক্ষ থেকে বের হয়ে গেলে শিক্ষক ফারুক আহমদ তাকে শাসন করে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেন তার পিতা মুজিবুর রহমানকে স্কুলে নিয়া আসার জন্য। একপর্যায়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ছেলে মাহিয়ানুল ইসলামকে শিক্ষক ফারুক আহমদ কর্তৃক বেত্রাঘাতের অভিযোগ এনে শ্রেণি কক্ষে পাঠদান থাকাবস্থায় তার পিতা মুজিবুর রহমান শিক্ষক ফারুক আহমদকে এলোপাতাড়ী ভাবে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে স্কুলের অন্যান্য সহকারী শিক্ষকগণ এগিয়ে এসে ফারুক আহমদকে উদ্ধার করেন। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে শিক্ষক ফারুক আহমদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করেন স্কুলের শিক্ষকরা। আহত শিক্ষকের পক্ষে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন সহ শিক্ষক নেতৃবৃন্দ মুহিজুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অপর দিকে শিক্ষককে মারধর করার পর মুজিবুর রহমান তার শিশুপুত্র স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহিয়ানুল ইসলামকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে থানায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিলে শিক্ষকের মারধরের সংবাদ অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে বিকেল ৫টার দিকে আহত শিক্ষকর ফারুক আহমদের দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ মুজিবুর রহমানকে আটক করে। মুজিবুর রহমানের আটকের বিষয়টি স্বীকার করে থানার সেকেন্ড অফিসার সোহেল মাহমুদ জানান আহত শিক্ষক ফারুক আহমদের দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুজিবুর রহমানকে আটক করা হয়েছে এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছে। তবে মুজিবুর রহমানের অভিযোগ শিক্ষক ফারুক আহমদ তার ছেলেকে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বেত্রাঘাত সহ মারধর করেছেন। এ ঘটনার তিনি প্রতিবাদ করেছেন শিক্ষককে শারীরিক ভাবে মারধর করেননি। অপর দিকে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক সহ আহত সহকারী শিক্ষক ফারুক আহমদ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীকে সামান্য শাসন করায় মুজিবুর রহমান শ্রেণি কক্ষে ঢুকে তাকে বেধড়ক মারধর করে মাটিতে ফেলে দেন এবং অসৌজন্য মূলক আচরন করেন।