স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট জেলার নবাগত পুলিশ সুপার সিলেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, প্রবাসীরা দেশে আসার পর কোনো ধরণের সমস্যা হলে অবশ্যই তাদেরকে আগে প্রাধান্য দেয়া হবে। প্রবাসীদের জায়গা জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন থানায় মামলা করা হয়। জেলার প্রতিটি থানার অফিসারদের বলে দেয়া হয়েছে যাতে প্রবাসীদের মামলাগুলো বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়ার জন্য।
গতকাল বৃহস্পতিবার ১সেপ্টেম্বর দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সিলেটে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি আজকেই আমার অফিসারদের বলে দিয়েছি-প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই আমাকে বলার জন্য থানায় কয়টি মামলা হয়েছে। কয়জন লোক এরেস্ট হয়েছে। এরা কি এজাহারের নামীয় এরেস্ট, না কি সাসপেন্ট এরেস্ট। কয়টা জিডি হয়েছে। তারমধ্যে জরুরী কয়টা। জরুরীর মধ্যে জমি সংক্রান্ত, মিসিং ও প্রবাসী রিলেডেট কয়টা মামলা হয়েছে। যখন আমি সকাল বেলা দেখব প্রবাসী সম্পৃক্ত এই কয়টা মামলা হয়েছে। আমি আমার অফিসারকে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেব। আজকে থেকে সিস্টেম চালু করা হয়েছে। আমি অবশ্যই সিলেটের জেনারেল পুলিশিং করবো এবং সেনসেটিভ পুলিশিংও করবো প্রবাসীদের জন্য। কারণ বাংলাদেশের অর্থনীতির পেছনে তাদের অবদান অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নাই।
রাস্তাঘাটে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ দ্বারা প্রবাসীদের গাড়ি আটকিয়ে চাঁদা দাবির ব্যাপারে তিনি বলেন, সোসাইটির একটা অংশ তারা। আমাদের মতো তারাও মানুষ। এই লোকদেরকে আমরা এমন একটা অবস্থা নিয়েছি সে ভিক্ষা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। কারণ তাদেরকে আমরা কাজ দেই না। কিন্তু তাকে তো বেঁচে থাকতে হবে। ভিক্ষার পর একটা সময় দেখা যাবে ছিনিয়ে নিয়ে যাবে আপনার কাছ থেকে। কারণ বেঁচে থাকতে হবে। এটা আমার একা পক্ষের সম্ভব না। সবাইকে সাথে নিয়ে তাদের সাথে আলোচনা করবো।
আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ফেনী জেলার পর আমি সিলেটে এসেছি। আমার পরম সৌভাগ্য যে, আমাকে সিলেটের এসপি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পুণ্যভূমি সিলেটে কাজ করা আমার বড় অর্জন। আমি নিজে থেকে আগ্রহ দেখিয়ে সিলেটে আসার চেষ্টা করেনি। সিলেটের কেমন পুলিশ চায় সেটাই ইম্পর্টেন্ট। আমি সেভাবে সিলেট জেলা পুলিশকে সাজাতে চেষ্টা করবো।
সভায় নবাগত পুলিশ সুপার বলেন, পুলিশ সাংবাদিক সম্মিলিতভাবে কাজ করলে জেলার বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। আপনারা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন, আমরা সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করবো।
তিনি আরও বলেন, জনগণের সেবা দেওয়ার জন্য আমার কার্যালয় সব সময় উন্মুক্ত থাকবে। জেলাবাসীর জানমালের নিরাপত্তা, শান্তিশৃঙ্খলা ও সরকার কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালনে কোন ত্রুটি বিচ্যুতি দেখা দিলে, তার কাজের যথাযথ মূল্যায়ন ও গঠনমূলক সমালোচনা করার জন্য অনুরোধও করেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় জেলার মাদক, চুরি, ছিনতাই, নারী নিযার্তনসহ বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন উপস্থিত সাংবাদিকরা।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপ্রতি ইকবাল সিদ্দিকী, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল-আজাদ, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী, সিলেট ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়শন (ইমজা) সভাপতি মঈন উদ্দিন মঞ্জু, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ রেনু, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ, ইমজা সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমদসহ সিলেটে কর্মরত বিভিন্ন অনলাইন, প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।