স্টাফ রিপোর্টার :
নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছে জাতীয় সাতারু বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্ষিতিন্দ্র চন্দ্র বৈশ্যকে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৩ টায় তিনি সাঁতার কেটে অসুস্থ বোধ করলে সুনামগঞ্জের আমবাড়ীবাজারস্থ সুরমা নদীর ঘাটে এসে যাত্রা বিরতি করেন তিনি। পরে তার সঙ্গে থাকা টিম সদস্যরা তাকে নিয়ে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে ক্ষিতিন্দ্র বৈশ্য’র সঙ্গে থাকা সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল।
এর আগে, গত ২৯ আগষ্ট সোমবার সকাল ৬টায় সিলেটের ক্বিন ব্রিজ সংলগ্ন চাঁদনীঘাট থেকে সাঁতার শুরু করেন সাতারু ক্ষিতীন্দ্র বৈশ্য। একুশে পদকপ্রাপ্ত ৭১ বছর বয়সী এই বীর মুক্তিযোদ্ধা সুরমা নদী থেকে যাত্রা শুরু করে কিশোরগঞ্জের ভৈরব ফেরিঘাটে পৌঁছাবেন।
সাঁতার যাত্রায় থাকা নৌ-বাহিনীর এসআই আনোয়ার জানান, সোমবার ২৯ আগষ্ট সকাল ৬টায় সিলেটের ক্বিন ব্রিজ সংলগ্ন সুরমা নদীর চাঁদনীঘাট থেকে সাঁতার শুরু করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্ষিতিন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য। বর্তমানে তিনি দোয়ারাবাজারের আমবাড়ি বাজারস্থ এলাকায় পৌঁছালে অসুস্থ বোধ করেন।
ক্ষিতীন্দ্রের এই উদ্যোগে সহায়তা করছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ইউনিট কমান্ড। এ ছাড়াও সার্বিকভাবে তাকে সহযোগিতা করছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, নৌ পুলিশ ও সিলেট সিভিল সার্জনের একটি দল।
এর আগে সোমবার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ইউনিট কমান্ডের সাবেক সভাপতি সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ২৮১ কিলোমিটারের মধ্যে সুরমা নদীর ১৪৪ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার, ধনু নদের ৮৪ দশমিক ৩১ কিলোমিটার, ঘোড়াউত্রা নদীর ৩৪ দশমিক ২৭ কিলোমিটার ও মেঘনা নদীর ১৮ দশমিক ৩৩ কিলোমিটার পাড়ি দেবেন ক্ষিতীন্দ্র। সাঁতার চলাকালে তিনি পানিতে খাওয়া-দাওয়াসহ যাবতীয় কাজ করবেন। সফলভাবে সাঁতার সম্পন্ন করলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের স্বীকৃতির জন্য আবেদন করা হবে।
ক্ষিতিন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য এর বাড়ি নেত্রকোনার মদন উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক পদে থাকা অবস্থায় অবসরে যান তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় এমএসসি পাস করা ক্ষিতিন্দ্র চন্দ্র সাঁতার কেটে এখন পর্যন্ত জাতীয় পর্যায়ে ৪টি পুরস্কার পেয়েছেন।