অবিলম্বে চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৩শ’ টাকা করার দাবী মেনে নিন – বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন

25

অবিলম্বে ২০২১-২২ সালের চুক্তি সম্পাদন করে চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৩০০ টাকা করার আন্দোলনের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে রবিবার ১৪ আগষ্ট বিকাল ৪টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন জেলা শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আহ্বায়ক মোখলেছুর রহমান এর সভাপতিত্বে ও সদস্য প্রসেনজিৎ রুদ্র এর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড উজ্জ্বল রায়। আরো বক্তব্য রাখেন জিতু সেন, চা শ্রমিক নেতা বীরেন সিং, অজিত রায়, নমিতা রায়, হৃদয় লোহার নির্মাণ শ্রমিক নেতা রাজন দাস প্রমুখ।
চা শ্রমিকরা দৈনিক মজুরি দাবি করছে ৩০০ টাকা। বর্তমানে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম শ্রমিকদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। সব সেক্টরের শ্রমিকদের অবস্থা খুবই শোচনীয়, চা বাগানের ক্ষেত্রে অবস্থা আরো অমানবিক, নাজুক। বর্তমান বাজারের সাথে চা শ্রমিকদের এই মজুরি গ্রহণযোগ্য তো নয়ই, বরং অযৌক্তিক ও অন্যায়। শ্রমিকদের দাবি করা ৩০০ টাকা সমর্থন করে আমরা আমাদের সংগঠন এর পক্ষ থেকে তা ৫০০ টাকা করার দাবি জানাচ্ছি। কারণ আমরা বিভিন্ন সময় বলেছি, ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে শ্রমিক পরিবারের ন্যূনতম শারীরিক চাহিদা পূরণ, জীবনযাত্রার খরচ, চিকিৎসা, যাতায়াত, শিক্ষা, পোশাকসহ আনুসাঙ্গিক খরচ ইত্যাদি বিচারবিবেচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিউট হিসেব করে দেখিয়েছেন ৫ সদস্যের একটি পরিবারের ন্যূনতম খাবারের জন্য ৬২৫ টাকা দরকার হয়, যা বর্তমান জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে আরো বেড়েছে। চা বাগানের সার্বিক দিক বিবেচনা করলে একটি পরিবার ৫০০/- টাকা দৈনিক মজুরি ছাড়া ন্যূনতম মানবিক জীবন যাপন করতে পারে না। তাই সেই প্রেক্ষাপটে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার আন্দোলন শতভাগ যৌক্তিক। কিন্তু মালিকপক্ষ বিভিন্ন গোজামিল ও ফাঁকির হিসাব দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করছে।
বক্তারা লড়াকু চা শ্রমিকদের এই আন্দোলন আপোষহীন মানসিকতায় শক্তিশালী করার আহবান জানান এবং তাদের এই দাবীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে অবিলম্বে ২০২১-২০২২ সালের চুক্তি সম্পাদন করে চা শ্রমিকদের আন্দোলনের দাবী মেনে নেওয়ার জন্য সরকারকে আহবান জানান। বিজ্ঞপ্তি