সিলেটের জেলা প্রশাসক মো: মজিবর রহমান বলেছেন, সবুজ শ্যামল দেশ গড়তে বেশি বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। কারণ দুর্যোগ প্রতিরোধে গাছের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের প্রয়োজন ২৫ শতাংশ বনভূমি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হবো। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জনসাধারণকে বাড়ির আঙ্গিনায় খালি জায়গায় তিনটি করে গাছ লাগানোর জন্য বলেছেন। আমরা সবাই যদি তিনটি করে গাছ লাগাতে পারি তাহলে সবুজ শ্যামলে চেয়ে যাবে আমাদের এই দেশ। মহামারী করোনায় আমরা বুঝতে পেরেছি অক্সিজেনের চাহিদা কতোটুকু। তাই অবহেলা না করে সবাইকে গাছ লাগাতে হবে। গাছের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি (১৩ আগষ্ট) শনিবার বিকাল ৪টায় নগরীর আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সিলেট বন বিভাগ আয়োজিত ও সিলেট জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় “বৃক্ষপ্রাণে প্রকৃতি-প্রতিবেশী, আগামী প্রজন্মের টেকসই বাংলাদেশ” এই প্রতিবাদ্যকে সামনে রেখে শুরু হওয়ায় ১৫দিন ব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বিভাগীয় বৃক্ষ মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সিলেট বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো: তৌফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ও সৈয়দ সাইমুম আব্বাস ইভান এবং জান্নাতুল নাজমিন আসার যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহরিয়ার বিন সালেহ।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক ও কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী, সহকারী বন সংরক্ষক জিএম এম আবু বকর সিদ্দিক, রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: শহিদুল্লাহ, সিলেট নার্সারী মালিক কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মো: আলমগীর আহমদ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত পাঠ করেন ফরেস্ট অফিস মসজিদের ইমাম মো: হাবিবুল্লাহ মেজবাহ, গীতা পাঠ করেন গোয়াইনঘাট ফরেস্ট বিট কর্মকর্তা শ্যামাপদ মিশ্র, বৃক্ষরোপনে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০২১ এর বিভিন্ন শ্রেণিতে সিলেট বিভাগীয় পর্যায়ে ১ম স্থান অর্জনকারীদের ও মেলায় অংশগ্রহণকারী নার্সারী প্রতিষ্ঠানকে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয় এবং বন বিভাগ কর্তৃক বাগান সুজনের জন্য বন কর্মকর্তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। মেলায় ১ লক্ষ ৬ হাজার ৪০০টি চারা বিক্রি হয়েছে, যার মূল্যে ৫৩ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। মেলায় ১৫০ জাতের চারা তোলা হয়। বিজ্ঞপ্তি