সিলেটে ট্রাক গাড়িতে ওভারলোড, স্টিকার বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে হাইওয়ে পুলিশ। গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া বিশেষ অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৮টি গাড়ি আটকের পর মালামাল আনলোড করে আটক করা হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশের এএসপি সালমান ফারসি।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সিলেট-তামাবিল-ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কে দীর্ঘদিন ধরে নিশি মটরস ও আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অবৈধ ভাবে ট্রাক গাড়িতে স্টিকার ব্যবসা করে আসছেন। সেই স্টিকার থাকলে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির কাগজ ছাড়াই ওভারলোড নিয়ে যেকোন স্থানে গাড়ি চলতে পারে। তাছাড়া প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা ফি দিয়ে স্টিকার কিনতে হয় গাড়ি মালিকদেরকে। এভাবেই নিশি মটরসের নামে আড়াই থেকে তিন হাজার গাড়ি চলে সিলেট-ঢাকা-চট্টগ্রাম লাইনে। প্রতি মাসে অর্ধকোটি টাকার ব্যবসা হয় নিশি মটরসের। মাস শেষে টাকার ভাগভাটোয়ারা পান পুলিশের কর্তা ব্যক্তিরা। ফলে সিলেটের পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা জিম্মি হয়ে পড়েন স্টিকার বাণিজ্যকারীদের কাছে। তার কথামতো মাসোহারা চুক্তিতে স্টিকার ক্রয় করে চলছেন মালিক-শ্রমিকরা। তার আদেশ অমান্যকারীরা সড়কে নানা রকম হয়রানীর শিকার হতে হয়। গাড়ি করা হয় ড্রাম্পিং। এমন অভিযোগের সত্যতা পান পুলিশের হাইকমান্ড ও হাইওয়ে পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তারা। ফলে গত (২৮ জানুয়ারী) মঙ্গলবার থেকে হাইওয়ে পুলিশের এএসপি সালম ফারসির নেতৃত্বে মঙ্গলবার থেকে গাড়িতে স্টিকার বাণিজ্য, ওভারলোড ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে শুরু হয় অভিযান।
অভিযানের প্রথম দিনে সিলেট তামাবিল সড়কে নিশি মটরসের স্টিকার ব্যবহৃত ১২টি গাড়ি, হাইওয়ে রোডের শেরপুর টোলপ্লাজা থেকে ১০টি গাড়ি আটক করে মালামাল আনলোড করে আটক করেন। বুধবার রাতে শেরপুর টোলপ্লাজা থেকে আরো বিভিন্ন কোম্পানীর ১০টি গাড়ি ও বৃহস্পতিবার তামাবিল রোড থেকে আরো ৬টি গাড়ির আটক করে মালামাল আনলোড করে গাড়ি আটক করেন।
এদিকে স্টিকার বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। সিলেটের ট্রাক মালিক শ্রমিকরা এ অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশের এএসপি সালমান ফারসি বলেন, গাড়িতে ওভারলোড, অবৈধ স্টিকার বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির অভিযোগে অভিযান শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৩৮টি গাড়ি আটক করা হয়েছে। তবে অভিযান অব্যাহত থাকবে। বিজ্ঞপ্তি