কাজিরবাজার ডেস্ক :
উজানে এবং দেশের মধ্যে বৃষ্টি কমে আসায় কমতে শুরু করেছে দেশের নদ-নদীগুলোর পানি। ফলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে আশা করছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
গত কয়েকদিন ধরে পানি নামতে থাকলেও শেষ দিকে আবার বৃষ্টি বেড়ে যাওয়ায় পানি বাড়তে শুরু করে। সে সময় নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা দেখা দেয়। তবে এ সপ্তাহে আর ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস না থাকায় পানি কমা অব্যাহত থাকতে পারে।
কেন্দ্রের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের কুড়িগ্রাম, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
শনিবার (২ জুলাই) দেশের তিন জেলার ৪ নদীর ৫ পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপরে আছে, যা গত বৃহস্পতিবারও ৭ পয়েন্টে উঠেছিল।
সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টের পানি ৪৯, কুশিয়ারা নদীর অমলশীদ পয়েন্টের পানি ৬৭ এবং শেওলা পয়েন্টের পানি ২৩, পুরাতন সুরমা নদীর দিরাই পয়েন্টের পানি ১৩ এবং সোমেশ্বরীর নদীর কলমাকান্দা পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে, যা আগের তুলনায় অনেক কম।
আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এর মধ্যে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে টেকনাফে ১৪৮ মিলিমিটার। এছাড়া বগুড়ায় ৯০ এবং ফরিদপুরে ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এদিকে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৫২, জলপাইগুড়িতে ৩৭ এবং দার্জিলিংয়ে ৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।
কেন্দ্রের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি বাড়ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি কমছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা ও পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।