ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
সিলেটের ওসমানীনগরে কথিত আইজি কামালের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলায় হয়রানিসহ জায়গা দখলের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাজপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার ইকবাল হোসেন মোস্তাক। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওসমানীনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি উপজেলার রাউৎখাই গ্রামের আবদুল বারীর পুত্র যুক্তরাজ্য প্রবাসী কামাল আহমদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ করেন।
মোস্তাক লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, উপজেলা উসমানপুর ইউনিয়নের রাউতখাঁই গ্রামের মৃত আব্দুল বারীর পুত্র মো: কামাল আহমদ এলাকায় নিজেকে পুলিশের ’আইজি’ পরিচয় দিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস ও অস্ত্রবাজীর রাজত্ব কায়েম করে যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, তাজপুর বালাগঞ্জ সড়ক এলাকার মোল্লাপাড়া এলাকায় বালাগঞ্জের মজলিসপুর গ্রামের প্রবাসী আব্দুল খালিক ক্রয় করা জায়গায় দেয়ালসহ দ্বীতল ভবন নির্মান করে ২০-২৫ বছর ধরে ভোগদখল করিয়া আসছেন। কিন্তু এই ভবনের প্রতি সন্ত্রাসীদের কামালের দৃষ্টি পড়লে জোর পূর্বক দখলের পায়তারা চালায়। বিষয়টি নিয়ে একাধিক গ্রাম্য সালিশে সে কাউকে পাত্তা না দিয়ে উল্টো সালিশকারী ব্যক্তিদের নামে বিভিন্ন সময়ে মিথ্যে চাঁদাবাজিসহ অন্যান্য অভিযোগে মামলা করে হয়রানী করে আসছে। তবে তার দায়ের করা মামলাগুলো পুলিশ তদন্তে মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে।
চলিত বছরের ২৮ মে বিকালে কামাল তার সহযোগিদের নিয়ে আব্দুল খালিকের বাসা জোর পূর্বক দখলের চেষ্টা কালে পুলিশ অভিযান চালালে কামাল তার সহযোগিদের নিয়ে পালিয়ে গেলেও একজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। পরবর্তীতে এ ঘটনায় কামালসহ ১০ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। উক্ত মামলায় আসামীরা আদালত থেকে জামিন থাকলেও মূলহোতা কামাল জামিন ছাড়াই প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
মোস্তাক অভিযোগ করেন, ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর হেড কোয়াটার্সের তথ্যের ভিত্তিতে ওসমানীনগর থানা পুলিশ কথিত আইজি কামালের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ভুয়া পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী চাঁদপুরের সদর উপজেলার আমজদ আলী (দাসপাড়া) গ্রামের আবুল হোসাইন ঢালী’র পুত্র আবু বকর শাকিল ওরফে নাজমুল ছাকীব (২৮) কে গ্রেফতার করা হয়। এসময় পুলিশের লোগো সম্বলিত একটি ওয়ালেট উদ্ধার করে পুলিশ।
মোস্তাক অভিযোগ করে বলেন, কামাল মামলার আসামী থাকা সত্ত্বেও সিলেটে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ উত্তাপন করে মান সম্মান ক্ষুন্ন করেছেন। কথিত এই আইজি কামালের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া জন্য দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বোয়ালজুড় ইউনিয়নের আবদুল আজিজ ও সুন্দর আলী।
এ ব্যাপারে ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, কেউ যদি ভুয়া পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দেয় আমরা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।