বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিলেট ও সুনামগঞ্জের লাখ লাখ মানুষ। বন্যা মূলত আল্লাহর পক্ষ থেকে মুসিবত। তাই মুসিবত থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে। জামায়াত একটি মজলুম সংগঠন। কিন্তু এই কঠিন মুসিবতে জামায়াত সাধ্যের সবটুকু নিয়ে বন্যার্তদের পাশে রয়েছে। বন্যার্ত মানুষের জন্য এই হাদিয়া কোন করুণা নয়। বরং এক ভাইয়ের বিপদে আরেক ভাইয়ের উপহার। বন্যাদুর্গত এলাকায় চতুর্দিকে মানুষের হাহাকার আর্তনাদ যে কোন মানুষের চোখকে অশ্রুসজল করে। এই কঠিন সময়ে বন্যার্ত মানুষের পাশে সামর্থ্য অনুযায়ী সকলের এগিয়ে আসা উচিত। ইতোমধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জামায়াতের বিভিন্ন টীম সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দেশের বন্যাদুর্গত সকল এলাকায় জামায়াতের এই ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
তিনি রবিবার সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের গণেশপুর সহ বিভিন্ন বন্যদুর্গত এলাকা পরিদর্শন, বন্যা কবলিত মানুষের মধ্যে খাদ্য ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী বিতরণকালে উপরোক্ত কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় ত্রাণ কমিটির রংপুর অঞ্চলের সমন্বয়ক ও জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় ত্রাণ কমিটির সিলেট অঞ্চলের সমন্বয়ক ও জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও সুনামগঞ্জ জেলা আমীর মাওলানা তোফায়েল আহমেদ খান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি লস্কর মোঃ তাসলিম ও মাহফুজুর রহমান, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা আব্দুস সালাম মাদানী, সমাজসেবী ডা. আব্দুল কুদ্দুস, ছাতক উপজেলা আমীর ডা. হারুনুর রশিদ, ছাতক ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুফি আলম সোহেল, ইসলামী ছাত্রশিবির সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি আমিনুর রহমানসহ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ ও ঢাকা মহানগরী উত্তর এবং সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি