গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়নের দাবিতে ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের মিছিল সমাবেশ

9

বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেটে ও বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় সুরমা পয়েন্টে জমায়েত হয়ে মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এসে এক সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির সংগ্রামী সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার, সাধারণ সম্পাদক মো. ছাদেক মিয়া পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রীক ফ্রন্ট শাহপরান থানা কমিটির সভাপতি খোকন আহমদ, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক রমজান আলী পটু, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমান আলী, প্রচার সম্পাদক রাশেদ আহমদ ভূঁইয়া, চন্ডিপুল আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুনু মিয়া সাগর, শাহপরান থানা কমিটির সভাপতি জয়নাল মিয়া, জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলা শাখার অন্যতম নেতা বদরুল আজাদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, চলমান বৈশ্বিক মন্দার সাথে করোনা মহামারীর প্রাদুভার্বে আমাদের দেশের শিল্প উৎপাদন, বাণিজ্যসহ অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত জনগণের উপর চাল-ডাল, লবণ-তেল, পিঁয়াজ ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয়ভোগ্যপণ্যের দফায় দফায় লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি, তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ পানি, সার কীটনাশকের মূল্যবৃদ্ধি, পরিবহন ভাড়া, বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি ইত্যাদিতে বিপর্যস্ত জনজীবনে বৈশ্বিক যুদ্ধময় পরিস্থিতি এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি করছে। সামাজিক অবক্ষয় ব্যাপক রুপ ধারণ করে এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে খুন-গুম অপহরণ-হত্যা, নারী নির্যাতন, নারী ধর্ষন, নারী ও শিশু পাচার, চুরি ডাকাতি, ছিনতাই-রাহাজানি, মাদক সন্ত্রাসে জনগণ ভীত।
বক্তারা আরোও বলেন, সরকার যখন উন্নয়নের গালভরা বুলি আওড়াচ্ছে তখন সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালালদের বেপরোয়া লুটপাটের ফলে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের বছরব্যাপী অগ্নিমূল্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জীবন বিপর্যস্ত। সরকারের মন্ত্রীরা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়ে ব্যবসায়ীদের পক্ষে সাফাই গাইছেন। করোনাকালে যখন নতুন করে ৩ কোটি ২৪ লাখ মানুষ দরিদ্রসীমার নীচে চলে গেছেন তখন সরকার জনগণের জীবন ও জীবিকাকে উপেক্ষা করে গ্যাস বিদ্যুৎ, জ্বালানীসহ সকল ক্ষেত্রে ভর্তুকি প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে। রেশনিং ব্যবস্থা করলে এই অসহনীয় দুর্বসহ ব্যবস্থা থেকে জনগণ কিছুটা হলেও স্বস্তি পেতে পারে। এখন এটা আশু প্রয়োজন। নেতৃবৃন্দ সকল শ্রমজীবী মানুষের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবি জানান। এবং বাজার দরের সাথে সংহতি রেখে নিম্নতম জাতীয় মজুরি নির্ধারণ, গণতান্ত্রীক শ্রম আইন প্রণয়ন, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকারের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের আহবান জানান। সিলেটে পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরবর্তী অবস্থায় পানি বাহিত রোগ কলেরায় আক্রান্তদের জন্য সরকারি ভাবে সুচিকিৎসার নিশ্চয়তা করার দাবি জানান। বিজ্ঞপ্তি