কোম্পানীগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
পানি প্রবাহের নালা অপদখল করে ভরাট করার ফলে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত না হওয়ায় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পাড়ুয়া এলাকার সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এলাকার অন্যতম বৃহৎ বিদ্যাপীঠ পাড়ুয়া হাইস্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাস জলমগ্ন হয়ে পড়ায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সমৃদ্ধ জনপদ হিসাবে খ্যাত পাড়ুয়া এলাকার পূর্বদিকে বঙ্গবন্ধু মহাসড়ক লাগোয়া পানি নিষ্কাশনের নালা অপদখল করে ভরাট করে ফেলেছে স্থানীয় একটি মহল। অভিযোগে প্রকাশ সম্প্রতি স্থানীয় আল্লাহর দান স্টোন ক্রাশার মিল কর্তৃপক্ষ তাদের মিল সংলগ্ন সড়ক ও জনপথের জায়গায় অবস্থিত পানি নিষ্কাশনের নালা ভরাট করে তা দখলে নিয়ে নেয়। এর ফলে বৃহত্তর পাড়ুয়া এলাকার বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন পানি প্রবাহ সচল রাখার উদ্যোগ নিলেও অপদখলকারিদের বাঁধার কারনে তারা ব্যর্থ হন। উপায়ান্তর না দেখে পাড়ুয়াবাসির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
কৃত্রিম এ জলাবদ্ধতার কারণে এলাকার লোকজন চলাফেরায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এলাকার একমাত্র উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাড়ুয়া আনোয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ প্রাঙ্গণ জলমগ্ন থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি ও কোম্পানীগঞ্জ পাথর ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি আব্দুল জলিল জানান সওজ এর পানি প্রবাহের নালা জবরদখল করে ভরাট করায় সমগ্র এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। জবরদখলকারি ক্রাশার মিল কর্তৃপক্ষকে বার বার তাগিদ দিলেও তারা পানি প্রবাহ সচল করছেনা।
এ ব্যাপারে আল্লাহর দান স্টোন ক্রাশার মিল কর্তৃপক্ষ কামাল উদ্দিন এর মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং জানান, এলাকাবাসী পানি নিষ্কাশনের নালা উদ্ধারের দাবিতে দরখাস্ত দিয়েছেন। আমরা তদন্ত করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। পানি নিষ্কাশনের বাধা দূর করে জলমগ্নতার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এলাকাবাসী কর্তৃপক্ষের জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন।