স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর দাড়িয়াপাড়া ও পশ্চিম কাজিরবাজার পৃথক অভিযান চালিয়ে আরও ১০ হাজার ৩৬৪ লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার ও জব্দ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর ও বিকেলে এসব স্থানে অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর।
বিকেলে নগরীর কাজিরবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফটিক স্টোর নামক একটি প্রতিষ্ঠানের গোদাম থেকে ১২০০ লিটার তেল জব্দ করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর সিলেট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শ্যামল পুরকায়স্থ জানান, জব্দকৃত তেল ন্যায্যমূল্যে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হয়। এছাড়া ফটিক স্টোরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে নগরীর দাড়িয়াপাড়ার একটি গুদাম থেকে সাড়ে ৩ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর। দাড়িয়া পাড়া এলাকার রসময় স্কুলের নিকটে জনপ্রিয় স্টোর নামের একটি দোকানের গুদাম থেকে এই তেল জব্দ করা হয়। জনপ্রিয় স্টারির স্বত্ত্বাধিকারী সুজন রায় রুপচাদা সয়াবিন তেলের ডিলার। খবর পেয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের টিম প্রথমে তা জব্দ করে স্থানীয় লোকজন, পথচারী ও অন্যান্য ব্যবসায়ীদের কাছে ন্যায্য মূলে বিক্রি করে দেয়। এ সময় তেল কেনার হিড়িক পড়ে যায় পুরো এলাকায়। মুহূর্তেই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় এবং দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে লোকজন তেল কিনতে থাকেন।
২ হাজার ৬৪০ টাকা দিয়ে ১৬ লিটার তেল কিনতে পেরে খুশি মধুশহীদ এলাকার বাসিন্দা জাহেদ আহমদ রুবেল। তিনি জানান, ভোক্তা অধিকার এর ধরনের অভিযান যেন নিয়মিত পরিচালনা করা হয়। সেই সাথে এসব অবৈধ তেল মজুদকারীর বিরুদ্ধে কঠোর ভাবে আইন প্রয়োগ করার কথাও জানান তিনি।
অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম জানান, তেল জব্দ করার দায়ে সালাহউদ্দিন ট্রেডার্সকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সয়াবিন তেল মজুদ ও অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রির অভিযোগে গত ৮ মে থেকে সিলেটে অভিযান শুরু হয়। আজকের পূর্বে পর্যন্ত ৫ দিনের অভিযানে সিলেট বিভাগের ৪ জেলা থেকে প্রায় সাড়ে ২৩ হাজার লিটার তেল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত তেল ক্রেতাদের কাছে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করা হয় এবং মজুদকারীদের জরিমানা করে ভেক্তা অধিদপ্তর।
উল্লেখ্য, ঈদের পর থেকেই বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সিলেটে সঙ্কট দেখা দিয়েছে তেলের। ব্যবসায়ীরা তেল মজুদ করে রাখার অভিযোগ রয়েছে। অনেকে বিক্রি করছেন বেশি দামে।