কাজিরবাজার ডেস্ক :
বহুল প্রতীক্ষিত হজ¦ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এবার সরকারী ব্যবস্থাপনায় দুটি প্যাকেজ দেয়া হয়েছে। এতে দেখা যায় সরকারী প্যাকেজগুলোতে খরচ বেড়েছে লাখ টাকা। তবে বেসরকারী প্যাকেজ প্রস্তাব করা হলেও চূড়ান্ত হয়নি। সরকারী ব্যবস্থাপনায় প্যাকেজ-১ এর অধীনে জনপ্রতি ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা ধরা হয়েছে। আর প্যাকেজ-২ এর অধীনে ধরা হয় জনপ্রতি ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা। বুধবার হজ¦ প্যাকেজ নিয়ে সচিবালয়ে সভা শেষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
এদিকে বেসরকারী হজ¦ প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে আজ বৃহস্পতিবার। বেসরকারীভাবে হজ¦যাত্রী পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত এজেন্সিগুলোর সংগঠন হজ¦ এজেন্সিস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) রাজধানীর একটি হোটেলে এ প্যাকেজ ঘোষণা করবে। সচিবালয়ে হজ¦ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম।
প্যাকেজ সম্পর্কে জানা যায়, এবার সরকারী ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ-১ এর হজ¦যাত্রীরা পবিত্র মসজিদুল হারাম চত্বরের সীমানা থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার মিটারের মধ্যে এবং প্যাকেজ-২ এর হজ¦যাত্রীরা সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫০০ মিটারের মধ্যে অবস্থান করবেন। সভায় বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় জনপ্রতি ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫৩০ টাকা প্রস্তাব করা হয়। তবে তা বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, দ্বিপক্ষীয় হজ¦চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে এ বছর সরকারী ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার জন ও বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৫৮৫ জনসহ মোট ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজ¦যাত্রী হজ পালনের সুযোগ পাবেন। হজ¦যাত্রীর বিমান ভাড়া সৌদি আরবের বাড়ি ভাডা, সার্ভিস চার্জ, মুয়াল্লিম ফি, জমজমের পানি, খাবার খরচ এবং অন্যান্য ফি হিসাব করে সরকারী ব্যবস্থাপনার জন্য দুটি প্যাকেজ এবং বেসরকারী ব্যবস্থাপনার এজেন্সিসগুলোর জন্য একটি প্যাকেজের প্রস্তাব করা হয়েছে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, হজে¦র জন্য বাংলাদেশ পর্বে কোন ব্যয় বৃদ্ধি হয়নি। ২০২০ সালে সৌদি রিয়ালের বিনিময় হার ছিল ২৩ টাকা। বর্তমানে এই হারের পরিমাণ ২৪ টাকা ৩০ পয়সা। এটিও প্যাকেজ মূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। এছাড়া সৌদি আরব পর্বে সকল খাতের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট, সার্ভিস চার্জ, কর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সৌদির কিছু খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেমন মোয়াল্লেম সার্ভিসের খরচ দ্বিগুণ হয়েছে। তাছাড়াও সেখানে বাড়িভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০ সালে ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকার তৃতীয় আরেকটি প্যাকেজ ছিল। তবে এ বছর তৃতীয় প্যাকেজ রাখা হয়নি।
২০২০ সালের তিনটি প্যাকেজের যে কোনটিতে নিবন্ধিত হজ¦যাত্রীকে ২০২২ সালের জন্য ঘোষিত প্যাকেজ-১ অথবা প্যাকেজ-২ এর যে কোন একটি প্যাকেজ নির্বাচন করে প্যাকেজ স্থানান্তরের মাধ্যমে চলতি মৌসুমের জন্য নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ই-হজ¦ সিস্টেমে প্যাকেজ স্থানান্তরের উক্ত অর্থ প্রাপ্তি তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করবে। নিবন্ধনের ক্রম অনুসারে ঢাকার হজ¦ অফিসের পরিচালকের অনুমোদনক্রমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন করতে পারবেন। ২০২০ সালে যে সকল নিবন্ধিত হজ¦যাত্রী প্যাকেজ স্থানান্তরের মাধ্যমে ২০২২ সনে নিবন্ধন চূড়ান্ত করবেন না অথবা হজে¦ যেতে পারবেন না, তাদের হজ¦ নিবন্ধন বাতিল হবে এবং তারা বিধি মোতাবেক প্রদত্ত অর্থ ফেরত পাবেন। বেসরকারী ব্যবস্থাপনার হজ¦ এজেন্সিগুলো সরকারী ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ-১ ও প্যাকেজ-২ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একাধিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে।
বিমানের টিকিট বাবদ গৃহীত অর্থ এজেন্সি ব্যাংক থেকে উত্তোলন করতে পারবে না। হজ¦যাত্রীর সংখ্যা অনুযায়ী সরাসরি পে-অর্ডারে মাধ্যমে এয়ারলাইন্সকে উক্ত অর্থ পরিশোধ করতে হবে এবং সৌদি আরবের বিভিন্ন সার্ভিস চার্জ ও পরিবহন বাবদ গৃহীত অর্থের মাধ্যমে সৌদি আরবে প্রেরণ ব্যতীত এজেন্সি উত্তোলন করতে পারবে না।