জগন্নাথপুরে দেবে যাওয়া সেতুর কারণে জনভোগান্তি চরমে, নতুন সেতু নির্মাণে আশারবাণী

19

মো.শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর সদরের নলজুর নদীতে থাকা ডাক বাংলো সেতুটি গত প্রায় ৩ সপ্তাহ আগে হঠাৎ করে দেবে যায়। এতে পথচারী জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসন জননিরাপত্তার স্বার্থে ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুর মাথায় বাঁশ বেঁধে দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করেছেন। তবে বাঁশের উপর দিয়ে কোন রকমে কিছু মানুষ পায়ে হেঁটে চলাচল করছেন।
জানা গেছে, বিগত এরশাদ সরকারের আমলে নলজুর নদীর উপর খাদ্য গুদাম এলাকায় সরকারি ভাবে একটি সেতু নির্মাণ হয়। সেতুটি আজও মানুষ ব্যবহার হচ্ছে। এ সময় আঁকাবাঁকা নদীর আরেক অংশে আরেকটি সেতুর অভাবে মানুষ খেয়া নৌকায় চলাচল করতেন। তখন তৎকালীন ৪নং সদর ইউপি চেয়ারম্যান (বর্তমান পৌরসভা) হারুনুর রশীদ হিরন মিয়ার প্রাণপন প্রচেষ্টায় জগন্নাথপুর বাজারের ব্যবসায়ী সহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতায় বেসরকারি ভাবে ছোট আরেকটি ডাক বাংলো সেতু নির্মাণ করা হয়। এ দুইটি সেতুর মাধ্যমে সিলেটের সাথে জগন্নাথপুর উপজেলাবাসীর যোগাযোগের সেতুবন্ধন হয়। এরপর থেকে জগন্নাথপুরবাসীর জীবনযাত্রা সহজ হয়ে যায়। কাউকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
এর মধ্যে ক্রমান্বয়ে জগন্নাথপুর শহরে পরিণত হয়। বাড়তে থাকে ব্যবসা-বাণিজ্য, গাড়ি ও লোক সংখ্যা। যে কারণে এ দুই সেতু দিয়ে গাড়ি ও মানুষ চলাচল সংকুলান হয় না। দিনের বেশির ভাগ সময় সেতুগুলোতে যানজট লেগেই থাকে। তাই যানজট নিরসনে দাবি উঠে খাদ্য গুদাম এলাকার সেতুটি ভেঙে আরেকটি বড় সেতু নির্মাণের। জনতার এমন দাবির প্রেক্ষিতে বর্তমান পরিকল্পামন্ত্রী এমএ মান্নান এর প্রচেষ্টায় এখানে দৃষ্টিন্দন আর্চ সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া শেষ হলেও এখনো কাজ শুরু হয়নি।
এর মধ্যে গত প্রায় ৩ সপ্তাহ আগে হঠাৎ করে ডাক বাংলো সেতুটি দেবে যায়। এতে মানুষের ভোগান্তি আরো বেড়ে গেছে। এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা। এমনিতেই সেতুগুলোতে যানজট লেগেই থাকে, তার উপর সেতু দেবে যাওয়ায় চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে মানুষ অনেক জায়গা ঘুরিয়ে খাদ্য গুদাম এলাকার সেতু দিয়ে কোন রকমে চলাচল করছেন। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ভুক্তভোগী জনতা।
৮ মে রবিবার সরেজমিনে বাঁশের উপর দিয়ে সেতুতে চলাচলকারী ভুক্তভোগী পথচারীদের মধ্যে অনেকে ধারনা করে বলেন, এবার নলজুর নদী খননকালে সেতুর পিলারের পাশ থেকে মাটি কেটে নেয়ায় সেতুটি দেবে যেতে পারে। সেতুটির একটি পিলার কয়েক ফুট দেবে যাওয়ায় এমন অবস্থা হয়েছে। এতে আমাদের কষ্টের শেষ নেই।
তবে এখানে নতুন সেতু নির্মাণের আশারবাণী শোনালেন জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোঃ সোহরাব হোসেন। তিনি বলেন, এ সেতুটি পৌরসভার আওতায় ছিল। এখন এলজিইডির আওতায় এনে দ্র”ত নতুন সেতু নির্মাণে আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করছি।