স্টাফ রিপোর্টার :
পবিত্র রমজানের মাসের মাগফিরাতের শেষ দিন ও মুসলামনদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন জুম্মা ছিল গতকাল। মাগফিরাতের শেষ দিন হওয়ায় নগরীর মসজিদগুলোতে ছিল মসুল্লিদের ঢল। শহর থেকে শহরতলীর সবগুলো মসজিদে ছিল মসুল্লিদের ভিড়। তিল ধারণের স্থান ছিল না মসজিদগুলোতে। নামায শেষে দোয়ার সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন সকলে।
গতকাল শুক্রবার নগরীর শাহজালাল (রহ.) ও শাহপরাণ (রহ.) মসজিদ, পুলিশ লাইন্স মসজিদ, বন্দর কালেক্টরেট জামে মসজিদ, সিলেট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মসজিদে দেখা গেছে মসুল্লিদের ঢল। নামায শেষে দোয়ার সময় আমিন ধ্বনিতে সকলের চোখ দিয়ে অঝোরে পানি পড়তে থাকে। হযরত শাহজালাল মাজারের মসজিদ করোনা ভাইরাস রোগ মুক্তি কামনা ও গুনাহ মাফের জন্য বিশেষ মোনাজাত করেন দরগাহ মসজিদের ইমাম হাফিজ মাওলানা মাওলানা আসজাদ আহমদ।
মাগফিরাতের রমজানের শেষ জুম্মা ছিল। দেখতে দেখতে রমজান মাস শেষ হতে চলছে। রমজান মাসটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটি মাস। এই মাসের এবাদত বন্দেগী আল্লাহরা কাছে অন্য হাজারটা মাসের থেকেও গুরুত্ব বহন করে। এই মাসটিতে সকলেই সংযম করার চেষ্টা করে, চেষ্টা করে আল্লাহর নৈকট্য লাভের। এ মাসের জুম্মার দিনগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্য সব জুম্মার চেয়ে এই মাসের জুম্মার দিনে মসজিদে মানুষের ঢল থাকে চোখে পড়ার মতো। নামাজ শুরুর আগেই সব মসজিদ কানায় কানায় ভরে যায়। মসজিদের ভেতরে মুসল্লিদের সংকুলান না হওয়ায় অনেককেই বাইরে নামাজ আদায় করতে হয়।
জুম্মার দুই রাকাত নামাজ শেষে সিলেটসহ গোটা দেশ ও জাতির সুখ, সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দোয়া করা হয় বছরের বাকী দিনগুলোতে যেন পাপ ও অকল্যাণ থেকে মুক্ত থাকা যায়। এসময় সকলের চোখ সজল হয়ে ওঠে। রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজানের তৃতীয় জুম্মা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পালন করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।