স্টাফ রিপোর্টার :
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান লকডাউনের ষষ্ঠ দিন গতকাল মঙ্গলবার সিলেট নগরীতে এক সাটাঁরের দোকান খুলে ব্যবসা এবং সড়কগুলোতে গাড়ির আধিক্য দেখা গেছে। এসব গাড়িগুলো বৈধভাবে চলছে কি না, তা নিশ্চিতে গত কয়েকদিনের তুলনায় ঢিলেঢালা ভাবে চলছে চেকপোস্ট। তবে চেকপোস্টগুলোতে বেশীর ভাগই মোটরসাইকেল আটক করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে দেখা গেছে।
এদিকে, সিলেট নগরীর সোবহানীঘাটে সবজির আড়ৎ, কদমতলীতে ফলের আড়তের চিত্র করোনাকালেও পাল্টায়নি। দু’চোখ যেদিকে যায়, কেবলই মানুষের জটলা। ব্যবসায়ী-ক্রেতা কারো মুখেই মাস্ক নেই। আর সামাজিক দূরত্ব সেতো চিন্তা করা বোকামি বটে। মাথার উপরে সচেতনতামূলক সাইনবোর্ড ঝুলানো থাকলেও বাজারে কারো মুখে নেই মাস্ক। নেই প্রশাসনের নজরদারি।
অন্যদিনের তুলনায় লকডাউনের ষষ্ঠ দিনে নগরীর সড়কগুলোতে যানবাহনের পাশাপাশি রাস্তায় মানুষের উপস্থিতিও বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার ঘোষিত ১৪ জুলাই পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউনের ষষ্ঠ দিন গতকাল মঙ্গলবার অতিবাহিত হলো। গত ১ জুলাই সাত দিনব্যাপী কঠোর লকডাউন শুরুর ভেতরেই করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটলে গত সোমবার নতুন প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সময়সীমা আরও ৭ দিন লকডাউন বাড়ানো হয়।
তবে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা বলছেন, ব্যাংক, বিমাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকায় সেসব প্রতিষ্ঠানের গাড়িগুলো সড়কে বেশী পাওয়া যাচ্ছে। তবে লকডাউনে যাদের চলাচলের অনুমতি আছে, তারাই রাস্তাই বের হচ্ছেন।
পুলিশের ভাষ্য, জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষদের আটকে দেয়া হচ্ছে। তবে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যারা সড়কে যানবাহন নিয়ে চলাচল করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
করোনা থেকে বাঁচতে হলে আগে সচেতন হতে হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) আশরাফ উল্যাহ তাহের। তিনি বলেন, পুলিশের পক্ষে একা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এটা একটা কঠিন কাজ। তবুও পুলিশ মাঠে কাজ করে যাচ্ছে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য। নিজেরা সচেতন হলেই কঠিন এই সময়ে বেঁচে থাকা সম্ভব। জনগণকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।