স্টাফ রিপোর্টার :
ঈদকে সামনে রেখে সিলেটের বিভিন্ন সীমান্তে মোবাইল ফোনসেট চোরাচালান ও জাল নোট বিক্রয় চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অবাধেই সীমান্ত দিয়ে তারা অবৈধভাবে দেশে আনছে ভারতীয় মোবাইল ফোন সেট।
মাঝেমাঝে চোরকারবারিরা ধরা পড়লেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অধরা থেকে যায় তারা। গত বৃহস্পতিবার সিলেট-জাফলং সড়কের একটি রেস্টুরেন্টে সাড়ে ১২ লাখ টাকা মূল্যের ১০০টি ভারতীয় মোবাইল ফোনসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। একই দিন হবিগঞ্জের মাধবপুরে অভিযান চালিয়ে জাল নোট বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
এর আগে কানাইঘাট, জকিগঞ্জ ও সিলেট সদর উপজেলার কুমারগাঁও বাসটার্মিনাল থেকে জাল টাকাসহ জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত জানুয়ারি মাসে গোয়াইনঘাটে ৩০ লাখ টাকার অবৈধ মোবাইল ফোন আটক করে পুলিশ।
সূত্রমতে, সিলেটের সীমান্ত এলাকা জাফলং ও গোয়াইনঘাট পণ্য চোরাচালানের নিরাপদ স্পটে পরিণত হয়েছে। সীমান্তপথে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নতুন ও চোরাই মোবাইল ফোনের চালান আসছে। এসব অবৈধ মোবাইল ফোনসেট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। ফলে অনেক সময় এগুলো ধরা পড়ে না। মাঝেমধ্যে লেনদেনে গরমিল হলেই চালান ধরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর কিছুদিন চোরাচালান বন্ধ থাকে। রফাদফার পর আবার শুরু হয়।
জানা গেছে, সিলেট, ঢাকাসহ দেশের বড় বড় শহরের মার্কেটে এসব মোবাইল ফোনসেট বিক্রি হচ্ছে আকর্ষণীয় মূল্যে। অবৈধ পথে আনা এসব মোবাইল কিনে প্রতারিতও হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
১২ লাখ টাকার মোবাইল ফোনসেট আটক
গত ১৪ এপ্রিল সিলেট-জাফলং সড়কের পীরের বাজারে শাহ সুন্দর রেস্টুরেন্টে সাড়ে ১২ লাখ টাকা মূল্যের ১০০ ভারতীয় মোবাইল ফোনসেটসহ ৩ জনকে আটক করে পুলিশ। তারা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে মোবাইল ফোনগুলো পাচার করে এনেছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার মোকামপুঞ্জির জাফর সাদেক জয় আলী (২২), একই উপজেলার বাউরভাগের আক্তার হোসেন (২২) ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার পাঠানটিলার লিমন মিয়া (২৮)। জাফর সাদেক জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলীর ছেলে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত জানুয়ারি মাসে গোয়াইঘটে ৩০ লাখ টাকার ২০২টি মোবাইল ফোনসেট আটক হলেও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। সীমান্ত এলাকা বিছনাকান্দি দিয়ে অবৈধ পথে বাংলাদেশে প্রবেশ করে এগুলো।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম জানান, ভারতের চোরাইকৃত মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বর বাংলাদেশে আসার পর শনাক্ত না হওয়ার সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে চোরাকারবারিরা।