কাজিরবাজার ডেস্ক :
শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার জন্য প্রয়োজন মানসম্মত শিক্ষক। তাই বর্তমান সরকার মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবারে যে সব শিক্ষক নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন তারা আগামী প্রায় ৩৫ বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি পাঠদান পরিচালনায় নিয়োজিত থাকবেন। তাদের হাতেই গড়ে উঠবে ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের কারিগর। অন্যথায় মানসম্মত শিক্ষক পাওয়া যাবে না এবং তাদের হাতে গড়ে উঠা প্রজন্মের কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাওয়া যাবে না।
জাকির হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা পরিচালনার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা পরিচালনা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। প্রতিটি দায়িত্ব সুষ্ঠু ও সুচারুভাবে পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম নিয়োগবিধি অনুসরণ করে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়। প্রার্থীদের রোল নম্বর, আসন বিন্যাস, প্রশ্নপত্র পাঠানো ও মুদ্রণ, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফলাফল প্রস্তুতসহ যাবতীয় কাজ সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা হয়। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবৈধ হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।
কেউ অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখালে তাকে নিকটস্থ থানায় সোপর্দ করা অথবা থানা বা গোয়েন্দা সংস্থাকে জানাতে দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান প্রতিমন্ত্রী।
লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে আগামী জুলাই মাসের মধ্যে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে প্রতিমন্ত্রী সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
মন্ত্রণালয়ের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
তিন ধাপে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার (২২ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্যায়ে ২২টি জেলার মধ্যে ১৪ জেলার সব এবং আট জেলার আংশিক পরীক্ষা নেয়া হবে। পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নিয়োগ পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ লাখ নয় হাজার ৪৬১ জন এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা এক হাজার ৮১১টি।