৯ জুন সংসদে বাজেট উপস্থাপন

8

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বৈদেশিক মুদ্রা ডলারের ওপর চাপ কমাতে বিলাসী পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করতে যাচ্ছে সরকার। তবে কনজ্যুমার প্রোডাক্ট ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানিতে সহযোগিতা আরও বাড়ানো হবে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, জীবনযাত্রার ব্যয় বিবেচনায় নিয়ে আগামী বাজেটে জনগণের ওপর নতুন করে কোন করের বোঝা চাপানো হচ্ছে না। আগামী ৯ জুন জাতীয় সংসদে আসন্ন ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশের স্বার্থেই আমদানি নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার সবকিছু আমদানি উৎসাহিত করা হবে। বুধবার সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। জীবনযাত্রার ব্যয় যে বেড়ে গেছে, সে বিষয়টি তুলে ধরে একজন সাংবাদিক জানতে চেয়েছিলেন, আগামী বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা তিন লাখ টাকা থেকে বাড়ানো হবে কিনা। এ প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আমরা বাজেট নিয়ে নোট বেইজড আলোচনা শুরু করেছি। আইটেমওয়াইজ আলোচনা আরও করতে হবে। এনবিআরের সঙ্গে বসতে হবে, নিজস্ব মন্ত্রণালয়ের বিভাগগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে বাজেট আরও বিস্তারিত করব, আরও সময় লাগবে। তিনি বলেন, দেশের জনগণের কষ্ট বা ভোগান্তি যাতে করে না বাড়ে এবং তাদের ওপরে যেন বোঝা বেশি না বাড়ে সেগুলোর জন্য আমরা কাজ করছি। আশা করছি এগুলো কমবেশি বিবেচনায় নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গতবছর ৩ জুন জাতীয় সংসদে চলতি ২০২১-২২ অর্থ বছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট উত্থাপন করেছিলেন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল। আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটের আকার মোটামুটি ৬ লাখ ৭৮ হাজার কিংবা তার চেয়ে কিছু বেশি টাকার হতে পারে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। নতুন বাজেট কেমন হবে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ বছরের বাজেট অন্যান্য বছরের মতো নয়। এবার আরও স্বচ্ছ উপায়ে বাজেট প্রণয়ন করা হচ্ছে। বাজেট কত হবে, খাতওয়ারি বরাদ্দ কত হবে এসব বিষয় মোটামুটি আগেভাগে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এবার ইনশাআল্লাহ আগামী ৯ জুন মহান সংসদে বাজেট উত্থাপন করা হবে।