ফাল্গুন ঘিরে বিশ্ব ভালোবাসা

28
গাছে ফুটেছে আগুন রঙা পলাশ, শিমুল ফুল। প্রকৃতিতে জানান দিচ্ছে বসন্ত এসে গেছে। পলাশ ফুলের মধুর টানে ছুটে আসে কাঠবিড়ালি, মৌটুসিসহ নানা পাখি। ছবিটি নগরীর শেখঘাট থেকে তোলা। ছবি-মামুন হোসেন

কাজিরবাজার ডেস্ক :
আজ পহেলা ফাল্গুন, ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। দুই অনুষ্ঠানের এই দিনকে বাঙালিরা বরণ করে নিয়েছে আপন মনে। অতীতকে পেছনে ফেলে নতুন কিছুর প্রত্যয়ে বর্ণিল সাজে আজ থেকে বদলে যাবে প্রকৃতি। আর কবির ভাষায় জানান দেবে ‘ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক আজ বসন্ত’। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে পরিবর্তন আনায় পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস একদিনেই উদযাপন করছে উৎসবপ্রিয় বাঙালি।
বাঙালির জীবনের সঙ্গে একাকার হয়ে আছে বসন্ত। বসন্তের বন্দনা আছে কবিতা, গান, নৃত্য আর চিত্রকলায়। বসন্তের প্রথম দিনকে বাঙালি পালন করে ‘পহেলা ফাল্গুন-বসন্ত উৎসব’ হিসেবে।
এ উৎসব এখন সব বাঙালির উৎসব। এ উৎসবটির একটি ঐতিহ্যময় ইতিহাস আছে।
মোগল সম্রাট আকবর প্রথম বাংলা নববর্ষ গণনা শুরু করেন ১৫৮৫ সালে। নতুন বছরকে কেন্দ্র করে ১৪টি উৎসবের প্রবর্তন করেন তিনি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বসন্ত উৎসব। তখন অবশ্য ঋতুর নাম ও উৎসবের ধরনটা এখনকার মতো ছিল না। তাই বসন্ত উৎসব শুধু একটা উৎসব নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলার গৌরবময় ঐতিহ্য।
প্রকৃতিতে বসন্ত আর ভালোবাসা যেন একে অন্যের পরিপূরক। পহেলা ফাল্গুনে বসন্ত উৎসবের রঙে মেতে ওঠে তরুণ হৃদয়, নতুন করে প্রাণ পায় প্রবীণরা। বসন্তে শুধু প্রকৃতিই নয়, হৃদয়ও রঙিন হয়ে ওঠে। তাই তো বসন্ত আমাদের কাছে ‘প্রেমের ঋতু’।
কোকিলের কুহুতানে জাগা মুখরিত বাংলার বিস্তীর্ণ প্রান্তরে আজ পহেলা ফাগুনের দিনে হবে ভালোবাসার জয়গান। হৃদয় থেকে হৃদয়ের কথাগুলো আজ ভাষা পাবে। প্রেমিক তার প্রেমিকাকে কিংবা প্রেমিকা তার প্রেমিককে আমি তোমাকে ভালোবাসি কথাটি প্রকাশ করবে ‘হ্যাপি ভ্যালেনটাইন্স ডে’ উচ্চারণ করে। এ উৎসবটির একটি ঐতিহ্যময় ইতিহাস আছে। ১৫৮৫ সালে মোগল সম্রাট আকবর ১৪টি উৎসবের প্রবর্তন করেছিলেন। এর মধ্যে অন্যতম ছিল ‘বসন্ত উৎসব’।