স্টাফ রিপোর্টার :
সপ্তাহের প্রথম দিনেই অস্থির নগরীর কাঁচা বাজার। একেক বাজারে একেক দরে বিক্রি হচ্ছে শাকসব্জিসহ অন্যান্য জিনিসপত্র। আর সুপারশপে সবজির দাম আরো আকাশচুম্বী। এ অবস্থায় ভোক্তারা পড়ছেন চরম বেকায়দায়। নগরীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
নগরীর বন্দরবাজারে যে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে, সেটা রিকাবীবাজারে ১৮০ টাকা, আম্বরখানায় ১৮০-১৯০ টাকা এবং চেইন শপ হিসাবে খ্যাতে স্বপ্ন’তে বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকা দরে। স্বপ্ন-এর কাঁচা বাজারের মূল্য তালিকায় দেখা যায়, চিচিঙ্গা ৬৩ টাকা, ঢেঁড়স, গাজর ও ঝিঙ্গা ৬৮ টাকা, কাঁচা পেঁপে ২৬ টাকা, করলা ৬৭ টাকা, পটল ৫৭ টাকা, মিষ্টি কুমড়া, ৫৭ টাকা, শশা চিকন ৮৮ টাকা এবং টমেটো ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ নগরীর বন্দর বাজারে চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫৫ টাকা, গাঁজর ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫৫ টাকা, কাঁচা পেপে ২০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা এবং শশা ও টমেটো ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দামের এমন তারতম্য সম্পর্কে স্বপ্ন-এর একজন বিক্রয় কর্মীকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি এর কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। ওই বিক্রয় কর্মী কৌশলে বিষয়টি এড়ানোর চেষ্টা চালান।
এদিকে, স্বপ্নের বাইরেও অন্যান্য বাজারেও জিনিসপত্রের দামের ক্ষেত্রে ৫-১৫ টাকা তারতম্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, সবজির বাজারে বিরাজ করছে চরম অস্থিরতা। একটি পণ্য আগের দিন এক দামে বিক্রি হলেও পরদিন সেই দাম আর থাকে না। তাদের অভিযোগ, বাজারে মূল্যের ক্ষেত্রে কোন স্থিতিশীলতা নেই।
এদিকে, বাজারে আগাম কিছু শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করলেও দাম অনেক ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। বাজারে নতুন মুলা শাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা, লাল শাক আটা ১৫-২০ টাকা, লাই পাতা ১০টা এবং স্থানীয় শশা ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বন্দরবাজারে বাজার করতে আসা রিকশাচালক হালিম মিয়া জানান, রিকশা চালিয়ে তিনি কোন মতে সংসার চালান। কিন্তু, জিনিসপত্রের দামের সাথে তিনি কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। তিনি বলেন, দামের কারণে গত কয়েকদিন ধরে তিনি পেঁপে ছাড়া আর কোন সবজি খেতে পারছেন না।
একেক বাজারে একেক দরে সবজি বিক্রি প্রসঙ্গে সিলেটের মার্কেটিং অফিসার মোর্শেদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পর পর কয়েক দফা বন্যার কারণে সবজির দামের ক্ষেত্রে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। যে কারণে দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখি ও নিয়ন্ত্রণহীন। তবে, তারা নিয়মিত মনিটরিং-এর মাধ্যমে তারা বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন। অক্টোবরের পর থেকে সবজির দর স্থিতিশীল হয়ে যাবে বলে জানান এ কর্মকর্তা। সুপার শপে অতিরিক্ত মূল্য রাখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ধরনের কিছু দোকান জিনিসপত্রের মূল্যের সাথে এসিরও মূল্য রাখে। তবে, সুপারশপ নিয়ে এখনো তাদের কোন বৈঠক হয়নি বলে জানান এ কর্মকর্তা।