সুনামগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত হাওর পরিদর্শনকালে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ॥ যাদের অবহেলায় হাওর ডুবি হয়েছে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না

8
সুনামগঞ্জে বাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে যাওয়া বিভিন্ন হাওর পরিদর্শন করেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।

একে কুদরত পাশা সুনামগঞ্জ থেকে :
সুনামগঞ্জে বাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে যাওয়া বিভিন্ন হাওর পরিদর্শন করেছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। বৃহস্পতিবার তিনি হাওর পরিদর্শনে এসে বলেন, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি বলেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর অবহেলা কারণে যদি বাঁধের ক্ষতি হয় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, ৮ জন পাউবো কর্মকর্তার অনিয়মের জন্য চাকরী থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, হাওর এলাকায় আমরা জানি যে এখানকার কৃষকরা একটিমাত্র ফসল করে থাকেন। ফসলটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ যে কোন সময়েই ফাস্ট ফ্লাড বা আগাম বন্যায় ফসল নষ্ট করতে পারে। এই বছর দেখা যাচ্ছে বন্যা একটা বেশী প্রবণতা, ফলে ইতিমধ্য সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাওরে বোরো জমির ধান তলিয়ে গেছে এবং অন্যান্য হাওরে ও পানি বাড়ছে। তবে কি হবে জানি না স্রষ্টা বলতে পারবেন বাকিটা। তিনি বলেন, এই আগাম বন্যায় যে সমস্ত কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বা হবেন তাদের জন্য আগামী বছর সরকারের তরফ থেকে বীজ ও সার বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে দেয়া হবে। যাতে করে কৃষকরা আগামী বছর সুন্দরভাবে বোরো ধান আবাদ করতে পারেন এবং অন্যান্য ধান আবাদ করতে চাইলে সেখানে ও সরকারের তরফ থেকে সহযোগিতার কথা জানান। যে সমস্ত কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তাদেরকে খাদ্য সহায়তা চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেয়া হবে। ২০১৭ সালে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের যেভাবে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছিল এবারো আর যদি কোন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত ১২ হাজার কৃষককে সহায়তা দেয়া হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক মো. বেনজীর আলম, জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সাঈদ ও বিনা ধান-১৭ এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাকিব, ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির হাসান পলাশ।
এর আগে মন্ত্রী সকালে জেলার জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, ধর্মপাশা উপজেলার হাওরের বাঁধ পরিদর্শন করেন। বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সাথে কথা বলেন।