কাজিরবাজার ডেস্ক :
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত। জোট থেকে কাকে কোথায় কোন আসন দিবে এনিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে ৩০০ আসনে শিগগিরই প্রার্থী ঘোষণা করবে ঐক্যফ্রন্ট ও ২৩ দলীয় জোট।
প্রতিটি আসনে বিকল্প প্রার্থী রাখা হয়েছে। বহু মামলার কারণে প্রার্থী দিতে যেন সমস্যা না হয় সেজন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে রাজপথের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার কথা বিবেচনায় রেখে প্রায় সব আসনেই বিকল্প প্রার্থী রাখা হয়েছে। বিগত ১০ বছরে আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে থাকা নেতৃত্বকেই মনোনয়ন দেয়া হবে বলে মনোনয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে।
এছাড়া দলের প্রতি আনুগত্য এবং এলাকায় জনভিত্তিও দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে খসড়া তালিকা করে ফেলেছে দলটি। সেটি ধরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২৩ দলের সঙ্গে সমন্বয় করে শিগগিরই বিরোধী এই জোটের ৩০০ আসনের চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ থেকে কারা মনোনয়ন পাচ্ছেন সে বিষয়টিও দেখা হচ্ছে বলে একটি সূত্র জানায়।
রবিবার (২৫ নবেম্বর) সকালে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির সিনিয়ন যুগ্ম মহাসচিব রুহুল করিব রিজভী আহমেদ বলেন, বিএনপির মনোনয়ন প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। যথা সময়ে দলের মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। আরেকটি অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, চারদিন ধরে আমাদের
প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। জোটের অন্য দলগুলোও সাক্ষাৎকার শেষ করেছে। এখন সবার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে ঐক্যমতে পৌছব বলে আশা করছি। ফখরুল বলেন, আগামী ২৮ তারিখের মধ্যে জমা দিতে হবে। তার আগেই কিছুটা প্রার্থী চূড়ান্ত করব। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ সময়ের মধ্যে বাকীটা চূড়ান্ত করব। এর মধ্যেও না হলে পরেও আমরা চূড়ান্ত করতে পারব।
বিএনপির কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বগুড়া-৬ ও ৭ এবং ফেনী-১ আসনে প্রার্থী হবেন। ১৯৯১ সাল থেকে এখানে কখনও তিনি হারেননি। তবে এবার সাজার কারণে শেষ পর্যন্ত তিনি না আসতে পারলে বিকল্পও রাখা হয়েছে।
বগুড়া-৬ আসনে খালেদা জিয়ার বিকল্প হিসেবে আছেন, সদর পৌর মেয়র মাহবুবুর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম, ভিপি সাইফুল ইসলাম ও জেলা সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন। বগুড়া-৭ আসনে বিএনপি নেত্রীর বিকল্প হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান মোর্শেদ মিল্টনের নাম রাখা হয়েছে। এভাবে সারা দেশে ৩০০ আসনেই বিকল্প প্রার্থী রেখে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেছে বিএনপি।
চট্টগ্রাম-২ আসনে সাংবাদিক নেতা কাদের গণি চৌধুরী মনোনয়ন পেতে পারেন বলে জানা গেছে। চট্টগ্রাম-৭ আসনে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদেরের মনোনয়ন প্রায় চূড়ান্ত। দীর্ঘদিন তিনি সেখানেই নির্বাচনী কাজ করছেন। ঢাকা-১ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, ঢাকা-২ আসনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা-৩ আসনে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ছাড়াও তার পুত্রবধূ নিপুণ রায় চৌধুরীকেও বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছে। ঢাকা-৪ আসনে সালাহ উদ্দিন আহমেদ ও তার ছেলে তানবির আহমেদ রবিন ও নবীউল্লাহ নবীর নাম রয়েছে।
ঢাকা-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন অবিভক্ত ঢাকা সিটির মেয়র সাদেক হোসেন খোকা। তিনি দেশে না থাকায় তার ছেলে ইশরাক হোসেন ও কাজী আবুল বাশারের নাম রয়েছে।
ঢাকা-৭ আসনে আগের প্রার্থী পিন্টু কারাগারে মারা যাওয়ায় তার স্ত্রী দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য নাসিমা আক্তার কল্পনাকে মনোনয়ন দেয়ার কথা শক্তভাবে ভাবা হচ্ছে। ঢাকা-৮ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সঙ্গে যুগ্ম-মহাসচিব হাবীব-উন নবী খান সোহেল রয়েছেন।
ঢাকা-৯ আসনেও আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তবে এখান থেকে ২০০৮ মনোনয়ন পেয়েছিলেন শিরিন সুলতানা। ঢাকা-১০ আসনে ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসিম ও শেখ রবিউল আলম রবি, ঢাকা-১১ আসনে ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এমএ কাইয়ুম প্রায় চূড়ান্ত।
ঢাকা-১২ আসনে যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা-১৩ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী ও আবদুস সালাম, ঢাকা-১৫ আসনে ড. আসাদুজ্জামান রিপন, মামুন হাসান, ঢাকা-১৬ আসনে স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার নাম রাখা হয়েছে। তবে সম্প্রতি সাজা হওয়ায় রফিকুল ইসলাম মিয়ার স্ত্রী ড. শাহিদা রফিকের নামও রাখা হয়েছে। বিকল্প হিসেবে রয়েছেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক।
ঢাকা-১৭ আসনে রুহুল আলম চৌধুরী, ঢাকা-১৮ আসনে যুবদলের এসএম জাহাঙ্গীর, ঢাকা-১৯ আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু, ঢাকা-২০ আসনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খানের নাম রয়েছে।
নাটোর-১ আসনে ফজলুর রহমান পটলের মুতুতে তার স্ত্রী অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার শিরিন মনোনয়ন পাচ্ছেন। কুমিল্লা-২ আসনে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার। তিনি মারা গেছেন। তার আসনে ছেলে মাহমুদ আনোয়ার ছাড়াও জেলা বিএনপির একাধিক নেতা তালিকায় রয়েছেন।
সিলেট-২ আসনে নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর স্ত্রী চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদী লুনাকে মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে। সুনামগঞ্জ-১ আসনে পাচ্ছেন নজির হোসেন।
পঞ্চগড়-১ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার এবার প্রার্থী হচ্ছেন না। তার ছেলে দলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমিরকে মনোনয়ন দেয়া হবে। পঞ্চগড়-২ আসনে মোজাহার হোসেন মারা গেছে। এ আসনে দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরহাদ হোসেন আজাদসহ চারজনকে প্রস্ততি নিতে দল থেকে বলা হয়েছে।
যশোর-৩ আসনে স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম মারা যাওয়ায় তার ছেলে দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের মনোনয়ন পাওয়া সময়ের ব্যাপার। বরিশাল-১ আসনে ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোবহানের পরিবর্তে সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপনের নাম রয়েছে।
গাজীপুর-১ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর নাম রয়েছে, যাকে সম্প্রতি দলে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। গাজীপুর-২ আসনে বিএনপির সাবেক মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নান তবে হাসান উদ্দিন সরকারকে বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছে। গাজীপুর-৩ আসনে বিএনপির সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চুর নাম রয়েছে।
গাজীপুর-৪ আসনে বিএনপির প্রয়াত নেতা আসম হান্নান শাহর ছেলে মো. রিয়াজুল হান্নান, গাজীপুর-৫ আসনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম ফজলুল হক মিলন মনোনয়ন পাচ্ছেন।
টাঙ্গাইল-৩ আসনে জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ মাঈনুল ইসলাম। তার বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা লুৎফর রহমান খান আজাদকে। টাঙ্গাইল-৫ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান, টাঙ্গাইল-৬ আসনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী বিএনপির কেন্দ্রীয় পল্লী উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী, টাঙ্গাইল-৮ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান।
কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. ওসমান ফারুক, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এডভোকেট ফজলুর রহমান, কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলমের নাম রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে সাবেক এমপি মো. গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সাবেক এমপি ও মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালামের নাম রয়েছে।
নরসিংদী-১ আসনে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন, নরসিংদী-২ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নরসিংদী-৩ আসনে বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, নরসিংদী-৪ আসনে সাবেক এমপি সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল মনোনয়ন পাচ্ছেন।
মানিকগঞ্জ-২ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্ত, মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সিনহা, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাইয়ের নাম রয়েছে।
ফরিদপুর-১ আসনে শ্রমিক নেতা ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, ফরিদপুর-২ আসনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, ফরিদপুর-৩ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের সম্ভাবনা বেশি।
রাজবাড়ী-১ আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ামের নাম রয়েছে। সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদেরের পরিবর্তে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রকিবুল করিম খান পাপ্পুর সম্ভাবনা বেশি।
চট্টগ্রাম-৪ আসনের যুগ্ম-মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৫ আসনে ভাইস-চেয়ারম্যান মীর নাসির উদ্দিন, চট্টগ্রাম-৬ আসনে ভাইস-চেয়ারম্যান গিয়াস কাদের চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৮ আসনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান এম মোর্শেদ খান, চট্টগ্রাম-১০ আসনে ভাইস-চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান ও চট্টগ্রাম-১১ আসনে স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী মনোনয়ন পাচ্ছেন।
কক্সবাজার-১ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ অথবা তার স্ত্রী হাসিন আহমেদ, কক্সবাজার-৪ আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ শাহজান চৌধুরী, খাগড়াছড়িতে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া মনোনয়ন পাচ্ছেন। রাঙ্গামাটি-১ আসনে দীপেন দেওয়ান ও মনি স্বপন দেওয়ানের নাম রয়েছে।
ফেনী-১ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিকল্প হিসেবে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টুকে রাখা হয়েছে। ফেনী-২ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবদীন ভিপির নাম রয়েছে।
কুমিল্লা-১ আসনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কুমিল্লা-৫ আসনে ভাইস-চেয়ারম্যান ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, কুমিল্লা-৮ আসনে কেন্দ্রীয় কর্মসংস্থানবিষয়ক সম্পাদক জাকারিয়া তাহের সুমনের নাম রয়েছে।
নোয়াখালী-১ আসনে যুগ্ম-মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, নোয়াখালী-২ আসনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বিরোধীদলীয় সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, নোয়াখালী-৩ আসনে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, নোয়াখালী-৪ আসনে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, নোয়াখালী-৫ আসনে স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ মনোনয়ন পাচ্ছেন।
লক্ষীপুর-২ আসনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, লক্ষীপুর-৩ আসনে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, চাঁদপুর-১ আসনে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও দলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আ ন ম এহছানুল হক মিলনের নাম রয়েছে।
ঠাকুরগাঁও-১ আসনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনোনয়ন পাচ্ছেন। দিনাজপুর-২ আসনে স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমানের নাম রয়েছে।
নীলফামারী-৪ আসনে কণ্ঠশিল্পী ও জাসাস নেত্রী বেবী নাজনীন মনোনয়ন পাচ্ছেন। রাজশাহী-১ আসনে সাবেক মন্ত্রী বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আমিনুল হক, রাজশাহী-২ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু মনোনয়ন পাচ্ছেন।
নাটোর-২ আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে যুগ্ম-মহাসচিব হারুনুর রশিদ, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে ভাইস-চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে সাবেক এমপি আব্দুল মান্নান তালুকদার, পাবনা-৪ আসনে হাবিবুর রহমান হাবিবের নাম খসড়া তালিকায় রয়েছে।
সিলেট-১ আসনে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ইনাম আহমদ চৌধুরী, পাশাপাশি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরকে বিকল্প রাখা হয়েছে।
সিলেট-৪ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য দিলদার হোসেন সেলিম, সুনামগঞ্জ-১ সাবেক সংসদ সদস্য নজির হোসেন, সুনামগঞ্জ-৪ চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুল হক আছপিয়া, সুনামগঞ্জ-৫ বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, হবিগঞ্জ-১ আসনে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শেখ সুজাত মিয়া, হবিগঞ্জ-২ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবনের নাম রয়েছে।
মৌলভীবাজার-১ আসনে কেন্দ্রীয় নেতা এবাদুর রহমান চৌধুরী, মৌলভীবাজার-২ সাবেক সংসদ সদস্য এমএম শাহিন, মৌলভীবাজার-৩ আসনে সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ছেলে জেলা বিএনপির সভাপতি নাসের রহমান মনোনয়ন পাচ্ছেন।
খুলনা-২ আসনে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনা-৪ আসনে বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, যশোর-১ আসনে সাবেক দফতর সম্পাদক মফিকুল ইসলাম তৃপ্তির নাম রয়েছে, সম্প্রতি তাকে দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
ঝিনাইদহ-১ আসনে সাবেক ছাত্রনেতা জয়ন্ত কুমার কুন্ডু ও ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান রিপন, ঝিনাইদহ-২ আসনে মসিউর রহমান, ঝিনাইদহ-৩ আসনে কণ্ঠশিল্পী মনির খান।
সাতক্ষীরা-১ আসনে সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, মেহেরপুর-১ আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুণের নাম রয়েছে।
বরিশাল-২ নির্বাহী কমিটির সদস্য সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু, বরিশাল-৩ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ভাইস-চেয়ারম্যান এডভোকেট জয়নুল আবেদিন, বরিশাল-৫ আসনে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও মজিবুর রহমান সরোয়ার, বরিশাল-৬ আসনে আবুল হোসেন খানের নাম রয়েছে।
ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঝালকাঠী-২ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ইসরাত সুলতানা ইলেন ভূট্টো, পটুয়াখালী-১ আসনে কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সভাপতি এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, পটুয়াখালী-৪ আসনে কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেনের নাম রয়েছে।
বরগুনা-১ আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা, বরগুনা-২ আসনে ভাইস-চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ভোলা-২ আসনে সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম, ভোলা-৩ আসনে ভাইস-চেয়ারম্যান সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ভোলা-৪ আসনে নাজিম উদ্দিন আলমের নাম রয়েছে।
ময়মনসিংহ-১ আসনে বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, ময়মনসিংহ-৪ আসনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের মহাসচিব ও ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) মহাসচিব ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ময়মনসিংহ-১০ আসনে এবি সিদ্দীক এবং আক্তারুজ্জামান বাচ্চুর নাম রাখা হয়েছে। জামালপুর-১ আসনে রাশিদুজ্জামান মিল্লাত, নেত্রকোনা-১ আসনে আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের নাম রয়েছে।