মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বেড়িবাঁধের নিচে থাকা কালভার্ট দিয়ে কাপনার হাওরে অল্পঅল্প করে পানি ঢুকছে। তবে বাঁধ ভেঙে গেলে তলিয়ে যাবে হাওর। এমন আশঙ্কায় শঙ্কিত কৃষক সহ স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, এবার ২৪ নং পিআইসি প্রকল্পের মাধ্যমে জগন্নাথপুর উপজেলার নারিকেলতলা ও গন্ধর্বপুর হাওর রক্ষা বাঁধের কয়েকটি ভাঙন ভরাট কাজ হয়। ৬ লাখ ৬২ হাজার টাকা ব্যয়ে কাজ পান পিআইসি কমিটির সভাপতি স্থানীয় ইউপি সদস্য কাওছার মিয়া তালুকদার। তার সাথে রয়েছেন সাবেক ইউপি সদস্য ইসরাক আলী।
৬ এপ্রিল বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁধের গন্ধর্বপুর এলাকার একাংশে অর্ধ ভাঙন রয়েছে। বাঁধের নিচ দিয়ে স্থানীয় কাপনার হাওরে অল্পঅল্প করে পানি ঢুকছে। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ বাঁধের নিচে রয়েছে একটি পাকা কালভার্ট। এ কলভার্ট দিয়ে হাওরে পানি ঢুকলেও ভয়ের কারণ নেই। এ অল্প পানিতে হাওর তলিয়ে যাবে না। তবে বাঁধ ভেঙে গেলে কাপনার হাওর ও নারিকেলতলা হাওর সহ আরো কয়েকটি ছোট হাওরে থাকা কাচা ধান তলিয়ে যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা সাবেক ইউপি সদস্য ইসরাক আলী বলেন, আমাদের প্রকল্পের মধ্যে এ অংশ ধরা নেই। তবুও মাটি ভরাট করতে চেয়েছিলাম। তখন মবশ্বির আলী নামের বিলের ইজারাদার বলেন, বিল সেচ হলে তিনি বাঁধের ভাঙনে মাটি ভরাট করবেন। পরে আর তিনি মাটি ভরাট করেননি। যে কারণে এখানে ভাঙন রয়ে গেছে। এ ভাঙনের অনেক নিচে রয়েছে পাকা কালভার্ট। বর্তমানে নদীতে পানি আসায় কালভাট দিয়ে হাওরে অল্পঅল্প করে পানি ঢুকলেও ভয়ের কিছুই নেই। এর পরও আমরা বাঁশের আড় দিয়ে মাটি ও মাটি ভর্তি বস্তা ফেলেছি। গভীর পানির নিচে কালভার্টের মুখ বস্তা দিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। এতে প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার অতিরিক্ত কাজ করতে হয়েছে। এখন বস্তার ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে অল্প অল্প করে নদী থেকে পানি হাওরে যাচ্ছে। এদিকে-চেষ্টা করেও মবশ্বির আলীর মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এছাড়া বাঁধের আরেকাংশে ভাঙন ভরাটকৃত আরো ২টি স্থানে সামান্য ফাটল দেখা গেছে। নদী ভর্তি পানির চাপে বাঁধ রীতিমতো ঝুঁিকতে আছে। যদিও মাটি কাটা শ্রমিক বিলাস মিয়া ও সোহান মিয়া সহ কয়েকজনকে বাঁধে কাজ করতে দেখা যায়। তবুও শঙ্কা যেন পিছু ছাড়তে চাইছে না। নদী ভর্তি পানি ও হাওরে কাঁচা ধান রেখে রীতিমতো আশা-নিরাশায় দিন কাটছে কৃষক-জনতার। এমন অভিমত হাওরে পাওয়া পথচারী কৃষক ও গরু রাখাল সহ জেলেদের।