কাজিরবাজার ডেস্ক :
কক্সবাজারে ফিশ এ্যাকুরিয়াম নির্মাণের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমুদ্র বিজ্ঞান গবেষণার জন্য একটি ইনস্টিটিউট নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে কক্সবাজারে একটি পূর্ণাঙ্গ সমুদ্র গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের লক্ষ্যে নতুন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি বা একনেক। মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন। একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারে ফিশ এ্যাকুরিয়াম স্থাপনের নির্দেশনা দিয়েছেন। ৪৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সমুদ্র বিজ্ঞান গবেষণার জন্য একটি ইনস্টিটিউট নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, নদী খনন ও বাঁধ নির্মাণের মতো প্রকল্পে পানিসম্পদ বিভাগকে আরও দ্রুত কাজ করতে হবে। ধীরে কাজ করলে, চলমান কাজ শেষ করার আগেই পুরনো স্থাপনা নষ্ট হয়ে যায়। এ জন্য আরও দ্রুততার সঙ্গে কাজ শেষ করতে হবে।
সভাশেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘দেশের সমুদ্র সম্পদ নিয়ে আরও গবেষণার জন্য এ ইনস্টিটিউট তৈরি করা হবে। এটা নিয়ে একনেকে বিশদ আলোচনা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিশাল সমুদ্রের তলদেশে আমাদের কী সম্পদ রয়েছে তা জানা যাবে।’ জিইডি সদস্য কাউসার আহমেদ বলেন, ‘নতুন প্রকল্পের আওতায় ৩২ মিটার লম্বা একটি জাহাজা কেনা হবে। এর সঙ্গে দুটি স্পীড বোটও থাকবে। যেগুলো উপকূল থেকে শুরু করে দূরবর্তী স্থান থেকেও নমুনা সংগ্রহ করবে। সমুদ্র সম্পর্কে বলতে গেলে আমাদের ডেটা একেবারেই নাই, খুবই খারাপ অবস্থায় আছি। তাই দেশে প্রথমবারের মতো ৫টি বয়া স্থাপন করা হবে। যেগুলো অটোমেটিক্যালি বিভিন্ন ডেটা সরবরাহ করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গপোসাগরের পাঁচটি মৎস্য আহরণ কেন্দ্রে এ সব বয়া বসানো হবে। এ ছাড়া নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে বিদ্যমান মূল ভবন তিন তলা থেকে ছয় তলা ভবন করা হবে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা সেখানে গবেষণারও সুযোগ পাবেন।’