সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
শাল্লা উপজেলার বাহাড়া গ্রামের নিরীহ পরিবিবারের মেয়ে জয়ন্তী রানী দাসকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় একই গ্রামের অত্যন্ত খারাপ প্রকৃতির লোক মলয় চন্দ্র দাস। ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে গত ৩০ জানুয়ারি পুলিশ তাকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা করেন। ধর্ষণ চেষ্টাকারী মলম চন্দ্র দাসের ন্যায্য, কঠোর শাস্তির ও বিচারের দাবিতে বিশাল এক মানববন্ধনের আয়োজন করে বাহাড়া গ্রামবাসী। ৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার বেলা ১ ঘটিকায় বাহাড়া গ্রামের সুইস গেইটের রাস্তায় মানববন্ধনটি করা হয়।
বাহাড়া গ্রামের কালাবাসি দাসের সভাপতিত্বে ও কালীকৃষ্ণ দাসের সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন গিরিস চন্দ্র দাস, মনোহর চন্দ্র দাস, কালাবাসী চন্দ্র দাস, রবিবীন্দ্র (সূর্য লাল দাস) চন্দ্র দাস, কৃষ্ণধন দাস, মেঘলাল দাস, বীরচরণ দাস, জয়মঙ্গল দাস, মোহনবাসী দাস, রঙ্গলাল দাস, কৃষ্ণহরি দাস, প্রতাকি দাস, নীরবিব চন্দ্র দাস, সজল চন্দ্র দাস, বিষ্ণু চন্দ্র দাস প্রমুখ।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন শাল্লা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এইচ এম দুলদুল চৌধুরী। ধর্ষণের চেষ্টাকারী মলয় চন্দ্র দাসের কঠোর শাস্তি চেয়ে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন নিরীহ পরিবারের মেয়ে জয়ন্তী রানী দাসকে ধর্ষণের চেষ্টাকারী মলয় চন্দ্র দাসকে আইনের মাধ্যমে কঠোর শাস্তি দেওয়া হউক। পরবর্তীতে আর যাতে এ রকম ঘটনা কেউ না ঘটায় সে ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগীর বড় ভাই অসীম চন্দ্র দাস বলেন বিয়ের মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়ে কুপ্রকৃতির মলয় চন্দ্র দাস রাতের আঁধারে আমার বোনের স্পর্শকাতর জায়গায় আঘাত করে তার আর্তচিৎকারে গ্রামের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে এবং ধর্ষণের চেষ্টাকারী মলয়কে হাতেনাতে আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়। অসীম চন্দ্র দাস বলেন মলয় চন্দ্র দাসের উপর ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করায় তার (মলয়ের) আত্মীয়স্বজন আমাদের পরিবারের উপর ক্ষেপে রয়েছে। আমাদেরকে হুমকি ধামকি দিয়ে দেখা নেওয়ার ভয় দেখাচ্ছেন অভিযুক্ত মলয় চন্দ্র দাসের বলয়ের লোকেরা। আমি মলয় চন্দ্র দাসের সঠিক বিচার চাই।