স্টাফ রিপোর্টার :
জকিগঞ্জে ভোট জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ নির্বাচন কর্মকর্তাকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় কাজলশার ইউনিয়নের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম।
কাজলসার ইউনিয়নের মরিচা ভোট কেন্দ্রে বুধবার দুপুর পর্যন্ত ব্যালট পেপারের অভাবে ভোটাররা ভোট দিতে না পারায় বিষয়টি সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার নজরে আসে। এ সময় ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা উপজেলা কৃষি অফিসার আরিফুল হকের সঙ্গে যোগযোগ করা হলে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান, তিনি নিজে প্রয়োজনীয় ব্যালট পেপার কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছেন। পরবর্তীতে রিটার্নিং কর্মকর্তা আরিফুল হক ব্যালট পেপার নিয়ে মরিচা ভোটকেন্দ্রে গেলে তাঁর গাড়ি থেকে সিল মারা ৪শ’ ব্যালট পেপার উদ্ধার করে পুলিশ। এই ব্যালটগুলোর মধ্যে নৌকা এবং আরও দুজন মহিলা ও পুরুষ মেম্বার প্রার্থীর প্রতীকে সিল মারা ছিল। এ অবস্থায় বিকেল ৩টার দিকে পুরো ইউনিয়নের ভোট স্থগিত করে প্রশাসন। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক এম. কাজী এমদাদুল ইসলামসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জকিগঞ্জে ছুটে যান। আটক হওয়া আরিফুল হকের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জালিয়াতির ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাদমান সাকিবকেও আটক করা হয়।
সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম বলেন, নির্বাচনে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জালিয়াতির ঘটনায় বিকেল ৩টার দিকে কাজলসার ইউনিয়নের ভোট স্থগিত করা হয়।
এদিকে, বুধবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে জকিগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের গণিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার সমর্থকরা ঢুকে ৩টি ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেন। পরে বাক্স ভেঙে কিছু ব্যালট পানিতে ফেলে দেয়া হয় এবং কিছু পুড়িয়ে দেয়া হয়। ফলে ওই কেন্দ্রের ভোটও স্থগিত ঘোষণা করেন প্রিসাইডিং অফিসার।