৫ দিনে নগরীতে বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ২৪ হাজার ৫০ জন ॥ এসএমএস পেলেও বুস্টার ডোজ নিতে যাচ্ছেন না অনেকেই

5

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীতে চলমান করোনা টিকার বুস্টার ডোজের জন্য মনোনীতদের তালিকায় নতুন যোগ হয়েছেন আরো ৪ হাজার। ফলে বুস্টার ডোজের তালিকা ১০ হাজারে পৌছেছে। এদিকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫ দিনে নগরীতে বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ২৪ হাজার ৫০ জন। অথচ টিকার জন্য এসএমএস দেয়া হয়েছিল ৪ হাজার ৫০০ জনকে। এসএমএস পেলেও বুস্টার ডোজ নিতে আসছেন না অনেকেই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার নগরীতে বুস্টার ডোজের জন্য ৬ হাজার জনের মনোনীত তালিকা প্রেরণ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যাদের সকলেই ষাটোর্ধ্ব এবং সম্মুখসারির যোদ্ধা কোটায় নিবন্ধন করেছিলেন। এর প্রেক্ষিতে বুধবার রাতে ৫০০ জনকে বুস্টার ডোজের এসএমএস দেয় সিসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ। এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ৩০ ডিসেম্বর নগরীর একমাত্র স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র ওসমানী হাসপাতালে কেন্দ্রে টিকা নেন ১১০ জন। যাদের মধ্যে ৮৩ জন পুরুষ ও ২৭ জন নারী রয়েছে। এরপর থেকে সরকারী ছুটির দিন ব্যতিত প্রতিদিনই ১ হাজার জনকে বুস্টার ডোজের জন্য এসএমএস দিয়ে আসছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বিপরীতে গড়ে ৫০০ মানুষ টিকা নিতে আসছেন।
এদিকে এসএমএস পেয়েও বুস্টার ডোজের টিকা নিতে অর্ধেক উপস্থিতির ব্যাপারে সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রতিদিন ১ হাজার জনকে এসএমএস দিয়ে যাচ্ছি। বিপরীতে উপস্থিতি অর্ধেক হচ্ছে। কারণ এখন যেসকল ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিবর্গ বুস্টার ডোজ নিচ্ছেন তাদের সবাই প্রথম দিকে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এই সময় অনেকেই যে দোকান থেকে নিবন্ধন করেছেন সেই দোকানের মোবাইল নাম্বার দিয়ে করেছেন। আবার বয়স্ক অনেকেই এসএমএস বিষয়টি বুঝছেন না। তাদের পরিবারের সচেতন সদস্যরা গুরুত্ব সহকারে এসএমএস না দেখায় উপস্থিতি কম হচ্ছে। এদিকে সংরক্ষণ তাপমাত্রা জনিত কারণে ফাইজারের টিকার কেন্দ্র যে কোন জায়গায় করা সম্ভব হচ্ছেনা। ফলে ওসমানী হাসপাতাল কেন্দ্রেই টিকা দিতে হচ্ছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত নগরীতে বুস্টার ডোজ নিয়েছে ২ হাজার ৪৫০ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ৫৭০ জন পুরুষ ও ৮৮০ জন নারী রয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার ১ম দিনে ৫০০ জনকে এসএমএস দিয়ে বুস্টার ডোজ নেন ১১০ জন। এরপর থেকে প্রতিদিনই বুস্টার ডোজের জন্য ১ হাজার জনকে এসএমএস দেয়া হচ্ছে। ২য় দিন শনিবার ৬৪৮ জন, ৩য় দিন রবিবার ৪৯৬ জন, ৪র্থ দিন সোমবার ৬৮৬ ও ৫ম দিন মঙ্গলবার ৫১০ জন বুস্টার ডোজের টিকা নেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত বুস্টার ডোজ নিতে টিকা কেন্দ্রে আসা ব্যক্তিদের বয়স পর্যালোচনা করে দেখা গেছে তাদের সকলেরই বয়স ৬০ এর উপরে। এরমধ্যে সম্মূখসারির যোদ্ধা হিসেবে কর্মরতের সংখ্যা বেশী। এদিকে নগরীতে বুস্টার ডোজের জন্য মনোনীত সর্বশেষ তালিকায় যারা আছেন তাদের বয়সও ষাটোর্ধ্ব এবং ২য় ডোজ গ্রহণ করার পর ৬ মাসের বেশী সময় অতিবাহিত হয়েছে। সম্মুখসারির যোদ্ধা হলেও ৬০ বছরের নিচে হলে ২য় ডোজ গ্রহণের ৬ মাস পার হলেও তাদেরকে এই মুহূর্তে বুস্টার ডোজ দেয়া যাচ্ছেনা। যদিও সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুস্টার ডোজের জন্য বসয় ৫০ এর বিষয়টি বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই সামনের তালিকায় পঞ্চাশোর্ধ নাগরিক ও সম্মুখসারির যোদ্ধারা যোগ হতে পারেন বলে স্বাস্থ্য বিভাগ সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।