উপশহরে পানির জন্য হাহাকার

7

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর অন্যতম অভিজাত এলাকা শাহজালাল উপশহরে পানির জন্য হাহাকার চলছে। গত কয়েকদিন থেকে পানি পাচ্ছেন না তারা। জে ব্লকসহ আরও কয়েকটি ব্লকের বিভিন্ন অংশে চলছে এই হাহাকার। অথচ বিষয়টি জানেই না সিলেট সিটি করপোরেশনের বড় কর্তারা।
সম্প্রতি সিলেট সিটি করপোরেশনের পানির দাম একলাফে বেড়েছে কয়েকগুণ। এ নিয়ে সচেতন মহলে চলছে তুমুল সমালোচনা। বর্ধিত বিল কমানোর দাবিতে আন্দোলনও চলছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে বা হচ্ছে। বিষয়টাকে সিসিক’র চাপিয়ে দেয়া বোঝা হিসাবে বিবেচনা করছেন সচেতন মহল।
এরমধ্যে আবার পানি সরবরাহ নিয়ে চলছে ঝামেলা। নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পানি না পাওয়ার অভিযোগ আসছে গণমাধ্যমের দফতরে। ভুক্তভোগীরা নিজেদের কল দিয়ে পানি না পওয়ার কথা জানাচ্ছেন। পাশাপাশি জানাচ্ছেন তাদের হতাশা আর দুর্ভোগের কথাও।
নগরীর উপশহরের জে ব্লকে গত দু’দিন থেকে পানি সরবরাহ হচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন কয়েকজন ভুক্তভোগী।
উপশহর জে ব্লক থেকে মোবাইলে কল দিয়ে হানিফ মিয়া (৫০) জানান, গত দু’দিন থেকে এই ব্লক এবং এর আশপাশ এলাকায় পানি সরবরাহ হচ্ছেনা। এতে তাদের জীবন মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। খাবার এবং ধোঁয়ামুছার কাজ করতে হচ্ছে অনেক দূর থেকে ঠেলা বা ভ্যানে পানি কিনে এনে। সেই পানিও আবার শতভাগ বিশুদ্ধ না হওয়ায় পেটের পীড়া জাতীয় রোগের উপদ্রুব বাড়ছে। তিনি বলেন, কেনে পানি দেয়না বা ভাই, কোনতা জানিনা। আমরারে একজরা সায্য করউকা। একই অভিযোগ ঐ এলাকার অধিবাসী কালাম, জামাল ও শহিদ মিয়ার।
বিষয়টি নিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের দুই বড়কর্তার সাথে আলাপকালে তারা বিষয়টি সম্পর্কে জানেন বলে জানান। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নূর আজিজুর রহমান পানি না পাওয়া এলাকার নাম জেনে নিয়ে বললেন, আমি খুঁজ নিয়ে দেখছি।
প্রায় একই ধরনের প্রশ্ন করলেন পানি শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর। তিনি জানান, কিছুদিন আগে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে তারা কিছু মেরামতের কাজ করেছিলেন। সে কারণে এই সমস্যা হওয়ার কথা না। তবে কেন পানি সরবরাহ হচ্ছেনা খুঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন আলী আকবর।
এদিকে শুধু উপশহরের জে ব্লকই নয়, একই অভিযোগ পাওয়া গেছে নগরীর শাহী ঈদগাহ, উত্তর কাজিটুলা এবং ইলেক্ট্রিসাপ্লাইয়ের কয়েকটি অংশ থেকে।