গোয়াইনঘাটে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন

4
লেঙ্গুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে এক বৃদ্ধ মহিলাকে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছেন তার ছেলে।

গোয়াইনঘাট থেকে সংবাদদাতা :
তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার নির্বচন কেন্দ্রগুলো পরিদর্শনকালে দেখা যায় কোন রকম বিশৃঙ্খলা ছাড়া উৎসবমুখর পরিবেশেশান্তিপূর্ণভাবে ভোটাররা ভোট দিয়েছেন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্রগুলোর কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রেই পুরুষ ভোটারের পাশাপাশি নারী ভোটারের সংখ্যাও ছিল চোখে পড়ার মতো।
বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার লেঙ্গুরা ইউনিয়নের লেঙ্গুরা, সতী ও নিয়াগুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং গুরুকচি ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে নারী ও পুরুষ ভোটাররা পৃথক লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ভোটকেন্দ্রের বাইরে ও ভেতরে উপস্থিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।
ছেলের কোলে উঠে লেঙ্গুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধা মাহবুবা বেগম। তিনি বলেন, মোর বয়স অই গ্যাছে বাবা। কোন সময় মরনের ডাক আইয়োয় খওয়াতো যার না। হয়তো অখটাও মোর জীবনের শেষ ভোট অইতাম পারে। আর খোনদিন সুযোগ পাইমু খরি খওয়া যার না। এর লাগি ভোট দেওয়াত আইছি।
দুপুরের দিকে নন্দীরগাঁও ইউনিয়নের দশগাঁও নওয়াগাঁও কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা আলী হায়দারের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি এসে আমার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছি। ভোট কেন্দ্রের পরিবেশ খুব শান্তিপূর্ণ। প্রতিটি নির্বাচনে এমন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলে আগামী যে কোনো নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি আরও বাড়বে।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র দেব বলেন, সকাল ৮ থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী চেয়ারম্যান প্রার্থীরাও নির্বাচনের পরিবেশ ও ভোট গ্রহণ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিলুর রহমান বলেন, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৫৪টি কেন্দ্রের কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলার ঘটনা ছাড়াই সব ইউনিয়নে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। এই ৬টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ৩৪ জন, সংরক্ষিত নারী ও সাধারণ সদস্য পদে ২৯৮ জন ভোটযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন।