স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর পৃথক স্থানে কিশোরী (১৭) ও তরুণী (২২) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। বিয়ে ঠিক হওয়ায় প্রেমিকাকে হোটেলে আটকে এবং ভাইকে কৌশলে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের এই পৃথক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। গত মঙ্গলবার ১৬ নভেম্বর বিকেলে তরুণী ও সন্ধ্যায় কিশোরীকে ধর্ষণের ন্যাক্কারজনক এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কোতোয়ালি এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে আটকে এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় ওই তরুণীর এক বান্ধবী ‘জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯’ এ ফোন করার পর তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আহমেদকে (৩৬) গ্রেফতার করা হয়।
কোতোয়ালি থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) শিদুল দাশ জানান, তিনি আবাসিক হোটেলটির একটি কক্ষ থেকে ভুক্তভোগী তরুণীকে উদ্ধার করেন এবং ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন।
ভুক্তভোগী এবং অভিযুক্ত উভয়েই একই গ্রামের বাসিন্দা এবং তাদের মধ্যে কয়েক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি অভিযুক্তের অন্যত্র বিয়ে ঠিক হলে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
অপরদিকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা থেকে কৌশলে ভাইকে নামিয়ে দিয়ে শারীরিক বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৭) ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় জালালাবাদ থানার জাঙ্গাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত অটোরিক্সা চালক বুদু মিয়া উরফে মক্কু মিয়াকে (৩২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার ১৭ নভেম্বর তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত বুদু মিয়া সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ থানার শক্রমর্দন মোকামবাড়ি (পাগলা) গ্রামের ফজলু মিয়ার পুত্র।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ভিকটিম তার ভাইয়ের সঙ্গে সিলেট তেমুখী পয়েন্ট থেকে তাদের বাড়ি গোবিন্দগঞ্জ যাওয়ার উদ্দেশে বুদু মিয়ার সিএনজি চালিত অটোরিকশায় ওঠেন। জালালাবাদ থানার জাঙ্গাইল সিএনজি পাম্পের কাছে যাওয়ার পর চালক গাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানান। এ সময় কিশোরীর ভাইকে গাড়িতে ধাক্কা দেওয়ার কথা বলে গাড়ি থেকে নামতে বলেন। কিশোরীর ভাই গাড়ির পেছনে ধাক্কা দিতে গেলে বুদু মিয়া কিশোরীকে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যান। এসময় কিশোরীর ভাই জালালাবাদ থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন। তাৎক্ষণিক পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে সন্ধ্যার পর জাঙ্গাইল সিএনজি পাম্পের পাশের একটি অন্ধকার জায়গা থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। উদ্ধারের পর চালক বুদু মিয়া তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানান ওই বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী।
মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ কমিশনার বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের জানান, পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাতেই ধর্ষক বুদু মিয়াকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। নির্যাতিতা কিশোরী বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় তার ভাই বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় মামলা করেছেন।