বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
তাহিরপুরে শাহ্ আরেফিন ওরস মেলাতে ভাসমান দোকানীদের কাছ থেকে অবৈধ চাঁদা আদায় বন্ধে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করা হয়েছে। সোমবার এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের পুরান লাউড় গ্রামের রফিকুল ইসলাম।
তাছাড়া এ অভিযোগ পত্রের অনুলিপি দেয়া হয় সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার, বিজিবি পরিচালক সুনামগঞ্জ, র্যাব-৯ সুনামগঞ্জ, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ বারাবর।
অভিযোগ পত্রে জানা যায়, শাহ্ আরেফিন মেলা মেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে লাখো ভক্ত আশেকান এসে জড়ো হন শাহ্ আরফিন মোকাম এলাকায়। মেলাকে কেন্দ্র করে তিন দিন ভাসমান দোকান করেন শত শত ব্যবসায়ী। আর এ প্রতিটি ভাসমান দোকান পেতে প্রত্যেক দোকানীকে গুণতে হয় প্রতি ১ হাত জায়গার জন্য ৫ শ টাকা। আর এভাবেই প্রত্যেক দোকানীর কাছ থেকে শাহ-আরেফিন মোকামের নামে চাঁদাবাজ চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ-লক্ষ টাকা। অভিযোগে উল্লেখ শাহ-আরেফিন ওসর মোবকারক উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতি বাদাঘাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন এর নেতৃত্বে একটি স্থানীয় চক্র এ চাঁদা উত্তোলন করছেন। চাঁদা আদায়কারীদের মধ্যে রয়েছে চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন এর পুত্র সোহাগ মিয়া, মৃত চালু মিয়ার পুত্র ফজল মিয়া, আক্কাছ মিয়া, রশিদ মিয়ার পুত্র নুর ইসলাম সরকার, আজ্জিদ মিয়া, রহমান মিয়ার পুত্র আনোয়ার মিয়া গং।
এ বিষয়ে শাহ-আরেফিন ওরস মোবারক উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতি জালাল উদ্দিন এর কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগের বিষয়টি সত্য নয়।
অভিযোগ কারী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি অভিযোগ দিয়েছি। অভিযোগ দেয়ার পর তারা আমাকে বিভিন্ন মোবাইল নাম্বারে হুমকি দিয়েছে হয় মারবে না হয় ইয়াবা দিয়ে চালান করে দিবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক এক ব্যবসায়ী জানান, মোকাম এলাকায় দোকান দিতে হলে তারা যা বলবে সে অনুয়ায়ী টাকা দিয়েই দোকান দিতে হবে।
এ বিষয়ে তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ নন্দন কান্তি ধর জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে চাদাঁবাজির বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। চাদাঁবাজির সঙ্গে যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।