সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এমবিবিএস প্রথম পেশাগত পরীক্ষা শুরু আজ

11

দেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা ও সেবার মান এবং সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর জাতীয় সংসদে অনুমোদন হয় সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১৮। একই বছরের ২০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী।
উপাচার্য নিয়োগের পর নগরীর চৌহাট্টায় স্থাপিত অস্থায়ী কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম। মাত্র তিন বছরে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যান্য নবপ্রতিষ্ঠিত মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চেয়ে অনেক এগিয়ে গেছে।
চলমান অগ্রযাত্রার অংশ হিসেবে আজ রবিবার, ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সিলেট বিভাগের ৬টি সরকারী ও বেসরকারী মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সের প্রথম পেশাগত পরীক্ষা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বিলাল আহমদ চৌধুরী জানান, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সের প্রথম পেশাগত পরীক্ষা এবছরের মে মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে তা অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ, হবিগঞ্জের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, জালালাবাদ রাগিব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ, নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও পার্ক ভিউ মেডিকেল কলেজের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মোট ৬৫৫ জন শিক্ষার্থী স্ব স্ব কেন্দ্রে এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন। পুরো বিষয়টি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রায় একটি মাইলফলক।
এ ব্যপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী মহোদয় বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই সিলেটবাসীর দাবি ছিল একটি পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের। এ জনদাবিকে গুরুত্ব দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর অনুমোদন হয় সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন। একই বছরের ২০ নভেম্বর আমি উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রার অংশ হিসেবে শুরু হচ্ছে এমবিবিএস কোর্সের প্রথম পেশাগত পরীক্ষা গ্রহণ। আশাকরি সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় আমরা সফলভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারব। সেই সাথে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা ও উদ্ভাবনের দ্বার উন্মোচন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপাচার্য মহোদয়। বিজ্ঞপ্তি