৩০ সেপ্টেম্বর খুলছে সিকৃবির হল

3

করোনা মহামারি কারণে দেড় বছর বন্ধ থাকার পর সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) খুলে দেয়া হচ্ছে। ২৭ সেপ্টেম্বর (সোমবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরী সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর।
সিকৃবি সিন্ডিকেট কমিটির সদস্য সচিব ও রেজিস্ট্রার মোঃ বদরুল ইসলাম শোয়েব জানিয়েছেন, অনার্স ফাইনাল ইয়ার, এমএস ও পিএইচডির শিক্ষার্থীরা ২ ডোজ টিকা প্রাপ্তির পর আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে হলে প্রবেশ করতে পারবেন। অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীরা ১ ডোজ টিকা প্রাপ্ত হলেই ২১ অক্টোবর থেকে হলে প্রবেশ করতে পারবেন। হলে উঠার আগে অবশ্যই টিকা গ্রহনের সনদ বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দিতে হবে। রেজিস্ট্রার মোঃ বদরুল ইসলাম শোয়েব আরো জানিয়েছেন, ১ নভেম্বর ২০২১ থেকে সিকৃবি ক্যাম্পাসে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান শুরু হবে এবং চলমান অনলাইন পরীক্ষাগুলো যথারীতি চালু থাকবে ও নির্ধারিত রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষাগুলো শেষ হবে। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী সিন্ডিকেট এই সিদ্ধান্তগুলোর অনুমোদন দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনা মহামারীর সময়ও সিকৃবির অনলাইন ক্লাস অব্যাহত ছিলো। প্রশাসসিক কাজও থেমে ছিলো না। স্বাস্থ্য বিধি মেনে কর্মকর্তারা প্রশাসনিক কার্যক্রম গতিশীল রাখে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থীরা এখনো টিকা গ্রহণ করেনি, সিন্ডিকেট সভা থেকে কর্তৃপক্ষ তাদের দ্রুত টিকা গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছে।
এদিকে গতকাল দুপুর ৩টায় সিন্ডিকেট সভার কার্যক্রম শুরু হয়। সভাটির সভাপতিত্ব করেন সিকৃবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মতিয়ার রহমান হাওলাদার। সভায় যোগদান করেছেন সিন্ডিকেট সদস্য, সিলেট ৬ আসনের সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ এম.পি, মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আবদুস শহীদ এম.পি, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর ড. শামসুল আলম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি বিভাগের ইমেরিটাস প্রফেসর ড. এম. এ. সাত্তার মন্ডল, প্যাথলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড একুয়াটিক এনভায়রনমেন্ট বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: হাসানুল ইসলাম এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব ফৌজিয়া জাফরিন এনডিসি, বাংলাদেশ প্রাণি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল জলিল, বাংলাদেশ আনবিক কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মোঃ খলিলুর রহমান, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম. রাশেদ হাসনাত, কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ আসাদ-উদ-দৌলা এবং উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুল ইসলাম। সিন্ডিকেট সভার সদস্য-সচিবের দায়িত্ব পালন করেন রেজিস্ট্রার মোঃ বদরুল ইসলাম শোয়েব। বিজ্ঞপ্তি