কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পূর্ণ ভূমি সেবা দেশের জনগণের হাতের মুঠোয় নিয়ে আসার মাধ্যমে ভোগান্তি লাঘবে ভূমি ব্যবস্থা ডিজিটালাইজড করতে কাজ করছে উল্লেখ করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের উন্নতি হয়। উড়ে এসে জুড়ে বসারা ক্ষমতাকে ভোগের জায়গা বানায়। অর্থ-সম্পদ বানানোর মেশিন হিসেবে পায়। আমরা যখন সরকারে আসি তখন আন্তরিকতা, আদর্শ, নীতি ও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করি। দেশের উন্নতি হয় ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়। কিন্তু উড়ে এসে জুড়ে যারা ক্ষমতায় বসে, তাদের সেই দায়বদ্ধতা থাকে না। দেশের মানুষের প্রতি তাদের কোন খেয়ালই থাকে না। এটাই হলো বাস্তবতা।
আওয়ামী লীগের বর্তমান সরকারের আগে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা কেন সারাদেশের জরাজীর্ণ ভূমি অফিসগুলোর সংস্কারের কোন পদক্ষেপ নেয়নি সেই প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ভূমি ব্যবস্থাপনাটাকে আরও উন্নত করতে চাই। আর সেই সঙ্গে আমরা জানি যে সারা বাংলাদেশে অনেক সময় ঠিকমতো কাজ করা যেত না। তাই বর্তমান সরকার সম্পূর্ণ ভূমি ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজড করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। মানুষের যেন ভোগান্তির শিকার না হতে হয়, দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বেড়াতে না হয়, ভূমি সেবা যেন হাতের মুঠোয় পায়- সেই ব্যবস্থাই আমরা করতে চেয়েছি। করোনার কারণে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। কিন্তু আমরা থেমে যাব না। এগিয়ে যাওয়া অব্যাহত থাকবে। দেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাবে।
বুধবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমি ভবন, ১২৯টি উপজেলা ও ৯৯৫টি ইউনিয়নের ভূমি অফিস ভবন, অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ কার্যক্রম এবং ভূমি ডাটা ব্যাংকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ভূমি মন্ত্রণালয় আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সেবাদানকারী সকল দফতর ও সংস্থাকে একই ছাদের নিচে এনে জনগণকে এক জায়গা থেকে সকল সেবা প্রদানের মাধ্যমে ‘ওয়ানস্টপ সার্ভিস’ নিশ্চিত করতেই রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এই ভূমি ভবন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন এবং ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম এবং প্রকল্পগুলোর ওপর পৃথক ভিডিও চিত্র পরিবেশিত হয়।
উল্লেখ্য, ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত ভূমি সংস্কার বোর্ড, ভূমি আপীল বোর্ড এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতর ঢাকা শহরের ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় অবস্থিত। ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত বিভিন্ন দফতর, সংস্থা ছাড়াও ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের কার্যালয় ও একটি আধুনিক রেকর্ড রুমের সংস্থান এ ভূমি ভবন কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। উক্ত অফিসগুলো একই ভবনে অবস্থানের ফলে ভূমি সংক্রান্ত সেবাদান ও সেবাগ্রহণ প্রক্রিয়া সহজতর হবে।
ভূমি ভবন কমপ্লেক্সে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, বঙ্গবন্ধু কর্নার ও কর্মজীবী মায়েদের সুবিধার্থে একটি ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় প্রায় ১৮৪ কোটি টাকা। নির্মিত ভবনটি ২টি বেজমেন্টসহ মোট ১৩ তলা বিশিষ্ট মূল ভবনটির নির্মাণ এরিয়া প্রায় ৩২ হাজার ২শ’ বর্গ মিটার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তার সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে শতভাগ মিউট্রেশন সম্পন্ন করার মাধ্যমে ভূমি ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। কেন না, মানুষ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হয়। মানুষকে যেন ভোগান্তির শিকার না হতে হয়, দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বেড়াতে না হয়। ভূমি সেবা যেন হাতের মুঠোয় পায় সেই ব্যবস্থাই আমরা করতে চেয়েছি। হাতের মুঠোয় ভূমি সেবা নিশ্চিত করতে অনলাইনে খতিয়ান সংগ্রহ, উত্তরাধিকার ক্যালকুলেটর, অনলাইন ডাটাবেজসহ ভূমিসেবার সকল ক্ষেত্রে অধিকতর ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। ই-মিউটেশন বাস্তবায়নের স্বীকৃতিস্বরূপ ভূমি মন্ত্রণালয় জাতিসংঘের ‘ইউনাইটেড নেশন্স পাবলিক সার্ভিস এ্যাওয়ার্ড-২০২০’ অর্জন করেছে। জাতিসংঘের এ পুরস্কার বাংলাদেশে এই প্রথম। এ স্বীকৃতি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয়কে আরও গতিশীল করেছে এবং বিশ্ব দরবারে আমাদের মর্যাদা অধিকতর সুসংহত হয়েছে।
ভূমি ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে সরকারের নেয়া পদক্ষেপগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরে অনুষ্ঠানে দেখানো একটি তথ্যচিত্রের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা কিছুক্ষণ আগে যে ভিডিওটা দেখলেন, সেখানে একেকটা ভূমি অফিসের যে জীর্ণ দশা, সেই জীর্ণ দশাটা দেখলে একটি প্রশ্নই জাগে যে, আমাদের আগে তো অনেকেই ক্ষমতায় এসেছে, কেন এই ব্যাপারে কোন সংস্কার করা হয়নি, সেটাই বড় প্রশ্ন।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা ও দেশের বিভিন্নস্থানে ভূমি অফিস জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনা তুলে ধরে এসব ঘটনার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাই জানে যে বিএনপি-জামায়াত জোট ২০১৩ সালে যেভাবে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছিল, তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অনেকগুলো ভূমি অফিস জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি-জামায়াত জোট) শুধু ভূমি অফিস জ্বালায়নি, চলন্ত বাসে যাত্রীরা যাচ্ছে, সেখানে নারী, পুরুষ, শিশু, মেয়ে সবাই আছে। সেই বাসে আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষগুলোকে পুড়িয়ে হত্যা করে। সিএনজি ড্রাইভার গাড়ি চালাচ্ছে, তাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারে। গাড়ি থেকে ড্রাইভারকে টেনে বের করে তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে পুড়য়ে হত্যা করে। এইভাবে তারা একটা ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে থাকে। সেখানে প্রায় ছয়টি ভূমি অফিসসহ অনেক ভূমি অফিস তারা নষ্ট করে দেয় এবং সেগুলো পুড়িয়ে দেয়।
ভূমি অফিসে আগুন দেয়া ঠেকাতে সে সময় হুঁশিয়ারি দেয়ার কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা বলেন, তখন একটা ঘোষণা দিয়েছিলাম যে, যারা এই ভূমি অফিস পোড়াচ্ছে, তাদের যেন আর কোনদিন কখনও জমির মালিকানা না থাকে। কারণ তারা তো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে, তারা আর পাবে কেন? এই হুমকি দেয়ার পরে কিন্তু তাদের এই ভূমি অফিস পোড়ানোটা বন্ধ হয়।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তাদের এই ধ্বংসযজ্ঞ আমরা দেখেছি, আসলে বিএনপি-জামায়াত এরা তো মানুষের জন্য কাজ করে না। এদের ক্ষমতাটা অবৈধভাবে দখলকারীদের হাত দিয়ে, একটা মিলিটারি ডিক্টেটরের হাতে তৈরি করা এই সংগঠন। কাজেই মানুষের প্রতি এদের আমি বলব কোন দায়িত্ববোধও নেই, দেশের জন্যও নেই। ক্ষমতা আর ক্ষমতায় থেকে টাকা বানানো, জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি- এটাই তাদের কাজ এবং সেটাই তারা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ভূমি ব্যবস্থাপনাকে আরও উন্নত করতে চায়। কেননা অতীতে এক একটা ভূমি অফিসের জীর্ণ দশা ছিল। ভূমি অফিসে কর্মকর্তা সঙ্কটের কারণে জনগণের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করা এক সময় দূরূহ ছিল, যেটা তার সরকার দূর করেছে। প্রায় শতভাগ উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদায়ন এবং তাদের যানবাহনের সুবিধা প্রদান করায় বর্তমানে ভূমি প্রশাসনে গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। জনগণকে কাক্সিক্ষত সেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ইতোমধ্যে অনলাইনে খতিয়ান সংগ্রহ করার সিস্টেম বাস্তবায়ন করেছে। জমির মালিক ঘরে বসেই খতিয়ান সংগ্রহ করতে পারছে। সারা বাংলাদেশের প্রায় ৪ কোটি ৯২ লাখ ডিজিটালাইজড খতিয়ান নিয়ে তৈরি করা হয়েছে ভার্চুয়াল রেকর্ড রুম। এই ভার্চুয়াল রেকর্ড রুম থেকে বিনা পয়সায় যে কেউ তার কাক্সিক্ষত খতিয়ান সংগ্রহ করতে পারছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন এবং পোস্ট অফিসগুলোকে তার সরকারের ডিজিটালাইজড করে দেয়ার কথাও উল্লেখ করে বলেন, জাতির পিতার করে যাওয়া পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসরণ করে এবং পাশাপাশি দীর্ঘ মেয়াদী প্রেক্ষিত পরিকল্পনার মাধ্যমে তার সরকার দেশের উন্নয়ন করছে। বিএনপির মতো এডহক ভিত্তিতে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছেন না বলেই দেশ পরিকল্পিত লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে।
সরকারপ্রধান আরও বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনাকে উন্নত ও বিশ্বমানের করার লক্ষ্যে ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প, ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ করার জন্য ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের পরিচালনা সক্ষমতা শক্তিশালীকরণ প্রকল্প এবং মৌজা ও প্লট ভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূটি জোনিং প্রকল্প আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। এই ৩টি প্রকল্পের কাজ শেষ হলে বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী ও আমূল পরিবর্তন সাধিত হবে। আর মানুষও এর সেবা পাবে।
ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়িত এই পাঁচটি প্রকল্পের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি প্রকল্প ভূমিসেবা প্রদান সহজীকরণের মাধ্যমে জনগণের দোড়গোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ প্রক্রিয়া সহজীকরণ অর্থাৎ ঘরে বসেই যাতে জমির মালিক ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের ডিজিটাল পদ্ধতি। এর মাধ্যমে কর পরিশোধে জনগণের ভোগান্তি আর থাকবে না।
সারা বাংলাদেশে প্রায় তিন কোটি হোল্ডিংয়ের মধ্যে প্রায় এক কোটি হোল্ডিংয়ের ডাটা এন্ট্রির কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং অবশিষ্ট হোল্ডিং এন্ট্রির কাজ চলমান রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে একজন নাগরিক যে কোন স্থান থেকে যে কোন সময় ভূমি উন্নয়ন কর সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন। অনলাইনে তা পরিশোধ করতে পারবেন এবং অনলাইনে দাখিলা পেয়ে যাবেন। এতে তাদের সময়, খরচ বাঁচবে এবং জনগণ হয়রানি থেকে রক্ষা পাবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, এছাড়াও ইউনিয়ন/পৌর ভূমি অফিসের মৌজাভিত্তিক সকল তথ্যও সংরক্ষিত থাকবে বিধায় নির্ভুলভাবে ভূমি উন্নয়ন করের দাবি নির্ধারণ করা সম্ভব হবে। সর্বোপরি, অর্থ বিভাগের অটোমেটেড চালান সিস্টেমের মাধ্যমে আদায়কৃত ভূমি উন্নয়ন কর সরাসরি সরকারী কোষাগারে জমা হবে। এর ফলে অতীতে ভূমি উন্নয়ন কর সরাসরি জমার বিধান না থাকায় ‘কিছু যেত, কিছু যেত না’- এখন আর সেটা হবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সায়রাতমহাল অর্থাৎ জল মহাল, বালু মহাল, চা বাগান, লবণ মহাল, চিংড়ি মহাল, হাটবাজার; খাসজমি এবং অধিগ্রহণকৃত জমির ডিজিটাল ডাটাবেজ না থাকার কারণে যে কোন তথ্য প্রাপ্তিতে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হতো। অনেক সময় আমরা জানতেই পারতাম না যে কি পরিমাণ জমি এ মহালের অন্তর্ভুক্ত। সরকার সকল প্রকার সায়রাতমহল ও অধিগ্রহণকৃত জমির অনলাইন ডাটাবেজ তৈরির কাজ সম্পন্ন করেছে। এর ফলে ভবিষ্যতে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন আরও সহজতর হবে। পাশাপাশি অনলাইন ডাটাবেজ থাকার কারণে অধিগ্রহণকৃত ভূমি ব্যবহারেও আর কোন সমস্যা থাকবে না।
সরকারপ্রধান বলেন, মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে ইউনিয়ন পর্যায়ে ১ হাজার ৪৯৮টি ভূমি অফিস নির্মাণের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৯৯৫টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে একদিকে গ্রামের মানুষের সেবা প্রদানের যথাযথ দাফতরিক পরিবেশ তৈরি হবে, অন্য দিকে রেকর্ডসমূহ যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। এই প্রেক্ষাপটে ১৩৯টি উপজেলা ভূমি অফিস নির্মাণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। ইতোমধ্যে ১২৯টি ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি প্রত্যেকটি উপজেলার ভূমি অফিসগুলোকে দ্রুত গড়ে তোলার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
দেশের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের চাষ উপযোগী ভূমি রক্ষার জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি, সেখানে শিল্পায়ন হবে। যার মাধ্যমে মানুষের কর্মসংস্থান হবে, বাড়বে রফতানি। সঙ্গে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়বে। করোনার কারণে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। তার মাঝেও আমাদের অর্থনৈতিক গতিশীলতা অব্যাহত আছে। আমরা থেমে যাব না। এগিয়ে যাওয়া অব্যাহত থাকবে। দেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাবে।