বিশ্বনাথে ইটভাটা মালিকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ॥ ২৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

17

বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
ফরিদ নামের এক গ্রাহকের সাড়ে ১৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণা মামলায় জেলে থাকা বিশ^নাথের ইটভাটা মালিক ইশর্^াদ আলীর (৬২) বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় ভুক্তাভোগী অপর গ্রাহকরা। তাদের অভিযোগ, কাঁচা ইট বিক্রির নামে ইশর্^াদ আলী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক ও ব্যবসায়ীসহ প্রায় ১৫৫ জন গ্রাহকের সঙ্গেও একইভাবে প্রতারণা করেছেন। আর সব মিলিয়ে ওই গ্রাহকদের প্রায় ২৯লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি। তার সঙ্গে অভিযুক্ত করা হয়েছে ইশর্^াদ আলীর দুই ছেলে কামরুল ইসলাম (৩৫) ও নাজমুল ইসলামকে (৩২)। পিতা-পুত্র তিনজনের বিরুদ্ধে আরও নানা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভেক্তাভোগীরা।
বুধবার (১১ আগষ্ট) উপজেলা সদরের একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দেওকলস ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন মেম্বার মুহিবুর রহমান বাচ্ছু। তিনি কালিগঞ্জ বাজারের পাশর্^বর্তি ধোপাখলা গ্রামের মৃত হাবিব উল্লার ছেলে। আর কালিগঞ্জ বাজারের মেমার্স আল-আমিন ব্রিক ফিল্ডের স্বত্ত্বাধিকারী অভিযুক্ত ইশর্^াদ আলী বিশ^নাথ ইউনিয়নের চৌধুরীগাঁওয়ের বাসিন্দা। গত রোববার (৮আগস্ট) আদালতে হাজিরা দিতে গেলে জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এর আগে গত ৩০জুন প্রতিরিত হয়ে তার বিরুদ্ধে সিলেটের সিনিয়র জুডিসয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন শ্রমিক নেতা ফরিদ মিয়া (৩৮)।
লিখিত বক্তব্যে বাচ্ছু উল্লেখ করেছেন, পাওনা টাকা নিয়ে একাধিক সালিশ বৈঠক ছাড়াও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট লিখিত অভিযোগও করেছেন। এমনকি হুমকি ধাকমির পর থানায় জিডিও করেছেন। কিন্তু তারপরও স্থানীয় কিছু অসাধু রাজনীতিবিদদের সঙ্গে নিয়ে হামলা মামলা ভয় ভিতি দেখানো হচ্ছে।
অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম ও নাজমুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রতারণা নয়, ব্যবসায় লোকসান হওয়ায় তারা গ্রাহকদের টাকা দিতে বলম্ব হচ্ছে। এ জন্য তারা গ্রাহকদের কাছ থেকে সময়ও নিয়েছেন। আর হুমকি-ধামকিও তারা দিচ্ছেন না বরং অভিযোগকারীদের কারণে দীর্ঘ এক বছর ধরে ইটভাটায় যাওয়া আসা এমনকি ব্যবসাও করতে পারছেন না।
বিশ^নাথ থানার ওনি গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, এক গ্রাহক জিডি করেছিলেন সেটি কোর্টে পাঠানো হয়েছে, তবে ফরদি ছাড়া আর কেউ এখনও মামলা করেননি।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ নুর উদ্দিন, ইউপি সদস্য দবিরুল ইসলাম ও ফজর আলী, স্কুল-শিক্ষক সুবোধ রঞ্জন পাল ও আখতার ফারুক, ব্যবসায়ী ছাতির আলী, আরশ আলী রেজা, ফরদি মিয়া, মহরম আলী, লালা মিয়া, মনসুর আহমদ, আবদুস শহীদ উপস্থিত ছিলেন।