কাজিরবাজার ডেস্ক :
বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতে করোনা নির্ণয়ের জন্য শর্ত সাপেক্ষে ৭৮টি প্রতিষ্ঠানকে অ্যান্টিজেন টেস্ট করার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। রবিবার (১৮ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ) ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন মিঞা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
টেস্ট করার ক্ষেত্রে কিছু শর্তের কথা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো- করোনার উপসর্গ/লক্ষণযুক্ত (সর্দি কাশি, শ্বাসকষ্ট, মাথা ব্যাথা, ঘ্রাণ না পাওয়া, মুখে স্বাদ না পাওয়া, ডায়রিয়া ইত্যাদি) ব্যক্তি এবং গত ১৪ দিনের মধ্যে করোনা পজিটিভ রোগীর সরাসরি সংস্পর্শে এসেছেন তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। অ্যান্টিজেন টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ হলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিএইচআইএস-২ সার্ভারে এন্ট্রি দিতে হবে। তবে লক্ষণযুক্ত ব্যক্তির অ্যান্টিজেন টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ হলে রিপোর্ট না দিয়ে অনুমোদিত আর্টিফিশিয়াল লেগ থেকে টেস্ট করিয়ে নিশ্চিত হতে হবে এবং ওই রিপোর্ট ডিএইচআইএস-২ সার্ভারে এন্ট্রি দিতে হবে।
দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকার কিট ব্যবহার করে পরীক্ষা করতে হবে। এ পরীক্ষার সর্বোচ্চ মূল্য ৭০০ টাকা, বিশেষ ক্ষেত্রে বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহ করলে অতিরিক্ত ৫০০ টাকা রাখা যেতে পারে। একই পরিবারের একের অধিক সদস্যের নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে চার্জের পরিমাণ ৫০০ টাকার বেশি হবে না।
রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএস শাখা থেকে আইডি-পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করতে হবে। এক্ষেত্রে ফোকাল পারসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। প্রত্যেকটি অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের একজন ফোকাল পারসন থাকবেন যিনি মেডিকেল অফিসার পদমর্যাদার হবেন।
সব বিভাগীয় জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানসমূহকে স্থানীয় সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান প্রধান (পরিচালক/সিভিল সার্জন/ইউএইচএফপিও)-এর সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ প্রদান করা হলো বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।