কাজিরবাজার ডেস্ক :
ভারতের কাশ্মীর-জম্মু শরণার্থী শিবির থেকে রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসছে বাংলাদেশে। ভারতে কাঁটাতারের ঘেরা ও বিএসএফ এর কড়াকড়ি পাহারা সত্ত্বেও কীভাবে রোহিঙ্গারা ভারতীয় সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে। দেশটির সীমান্তরক্ষীর দায়িত্ব পালন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মহল।
জানা গেছে, ২০২০-২১ দুই বছরে অন্তত দুই হাজার অবৈধ রোহিঙ্গা কুতুপালংসহ বিভিন্ন শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। ভারতে শিবিরে আশ্রিত রোহিঙ্গারা শরণার্থী মর্যাদায় জাতিসংঘের তালিকাভুক্ত হিসেবে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে। তবে অতিরিক্ত ত্রাণ সামগ্রীসহ রোহিঙ্গারা যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে জেনে ভারত থেকে রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসছে বাংলাদেশে। দালালদের মাধ্যমে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা আসছে উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে। শনিবার উখিয়ার কুতুপালং আশ্রয় শিবিরে এসেছে রোহিঙ্গা। খবর পেয়ে আর্মড পুলিশ তাদের আটক করে ক্যাম্প ইনচার্জের কার্যালয়ে সোপর্দ করেছে। ক্যাম্প ইনচার্জ তাদের টিভি রিলে কেন্দ্রের পাশে (কুতুপালং) ট্রানজিট ক্যাম্পে হস্তান্তর করেছে। ইউএনএইচসিআর ওই রোহিঙ্গাদের রেজিস্টারভুক্ত করে সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। শরণার্থী আইন অনুসারে এটি সম্পূর্ণ অবৈধ। কেননা তারা ভারতে আশ্রিত শরণার্থী। সেখানে ইউএনএইচসিআর তাদের তালিকাভুক্ত করেছে। তারা ভারতীয় রোহিঙ্গা শরণার্থী। এসব রোহিঙ্গা ২০১২-১৬ সালে রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল। বিশ্লেষকরা বলেন, তারা বাংলাদেশে আশ্রিত উদ্বাস্তু নয়। যেহেতু তারা ভারতে আশ্রয় শিবিরে তালিকাভুক্ত শরণার্থী, সেহেতু উখিয়ায় রেজিস্টারভুক্ত না করে বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ শেষে তাদের ভারতে পুশব্যাক করা উচিত ছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ভারত থেকে পালিয়ে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া দুই পরিবারের ৭ সদস্যকে আটক করেছে ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। শনিবার সন্ধ্যায় উখিয়া লাম্বাশিয়া ক্যাম্প-১ ইস্ট, ব্লক- এফ-১৪ থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হচ্ছে- শাহজান (২২), হামিদা বেগম (২১), ইব্রাহিম (৩), মোহাম্মদ তাহির (৩৩), আনোয়ার কলিম (২৫), সাইমা (৫) ও রমিনা (২)। তারা সবাই ভারত থেকে পালিয়ে এসেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ১৪ আমর্ড পুলিশের অধিনায়ক নাঈমুল হক বলেন, ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে ৭ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ভারত থেকে পালিয়ে আসার কথা স্বীকার করেছে। আটকদের ক্যাম্প ইনচার্জের (সিআইসি) কার্যালয়ে সোপর্দ করার পর ট্রানজিট ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, বাংলাদেশে আশ্রয় ক্যাম্পে অতিরিক্ত ত্রাণ পাওয়া যাচ্ছে খবরে ভারত থেকে পালিয়ে আসছে ভারতে জাতিসংঘের তালিকাভুক্ত এই রোহিঙ্গারা।
এর আগে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় এক পরিবারের ৬ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক আত্মীয়ের বাসায় আসার সময় চেকপোস্টে ১/ইস্ট, ব্লক- এফ/১২ এ ১৪ এপিবিএনের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক নাঈমুল হক পিপিএম জানান, ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ক্যাম্পে এক আত্মীয়ের বাসায় যাওয়ার সময় চেকপোস্টে কর্মরত এপিবিএনের সদস্যরা ৬ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে। মিয়ানমারের মংডু টাউনশিপের ফইরা বাজার এলাকায় বসবাস করত মোঃ সাইদ। গত ২০১২ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচারে মিয়ানমার থেকে ভারতের জম্মু চলে যায়। সে দিনমজুরের কাজ করত ভারতে। ওখানে আরও অন্তত ৩০০টি রোহিঙ্গা পরিবার আছে। বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গারা ভাল অবস্থায় থাকার খবর পেয়ে কুতুপালং ক্যাম্পে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। আটক রোহিঙ্গারা জানায়, জম্মু থেকে ট্রেনযোগে দিল্লী আসে। দিল্লী থেকে বাসে অসমের গুয়াহাটি হয়ে সেখানকার তার কাঁটা ছেদ করে বাংলাদেশের কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। জম্মু থেকে বাংলাদেশের সীমান্ত পর্যন্ত একজন ভারতীয় দালালের মাধ্যমে আসে। সীমান্ত পার হওয়ার সময় বিএসএফ এর হাতে ধরা পড়ে। বিএসএফ এর সদস্য তাকে পিটিয়ে ইউএনএইচসিআরের কার্ড নিয়ে নেয়। জম্মু থেকে বাংলাদেশে আসা পর্যন্ত দালালের সঙ্গে পুরো পরিবারের জন্য ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) রুপী দিতে হয়। কুমিল্লা সীমান্ত পার হয়ে হেটে ও সিএনজি করে কুমিল্লা রেলস্টেশনে আসে। তারপর ট্রেনে করে আসে চট্টগ্রাম শহরে। চট্টগ্রাম থেকে বাসে কক্সবাজার ও কক্সবাজার থেকে কুতুপালং পর্যন্ত বাসে পৌঁছেছে। কুমিল্লা সীমান্ত থেকেও এক বাঙালি দালাল কুতুপালং পর্যন্ত নিয়ে আসে। সে পুরো পথের ভাড়া দেয়। সে দালাল তার মোবাইলের সকল যাবতীয় তথ্যাদি মুছে দেয়। ইন্টারন্যাশনাল রোমিং ফাংশন চালু না থাকার দরুন অন্য কোনভাবে তথ্য পাওয়া যায়নি। সে জানায় ওখানকার সব রোহিঙ্গা পরিবার বাংলাদেশে চলে আসবে। ইতোমধ্যে অনেক পরিবার চলে আসছে। কুতুপালং ক্যাম্প সি আই সি তাদের ট্রানজিট ক্যাম্পে প্রেরণ করে। কুতুপালং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা মোঃ নুর জানান, বালুখালী, কুতুপালং ক্যাম্প ৯/৮/৬ /ইস্ট ও ৪ নং ক্যাম্পে ভারত থেকে পালিয়ে আসা কমপক্ষে ২ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।
কাজিরবাজার ডেস্ক
ভারতের কাশ্মীর-জম্মু শরণার্থী শিবির থেকে রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসছে বাংলাদেশে। ভারতে কাঁটাতারের ঘেরা ও বিএসএফ এর কড়াকড়ি পাহারা সত্ত্বেও কীভাবে রোহিঙ্গারা ভারতীয় সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে। দেশটির সীমান্তরক্ষীর দায়িত্ব পালন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মহল।
জানা গেছে, ২০২০-২১ দুই বছরে অন্তত দুই হাজার অবৈধ রোহিঙ্গা কুতুপালংসহ বিভিন্ন শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। ভারতে শিবিরে আশ্রিত রোহিঙ্গারা শরণার্থী মর্যাদায় জাতিসংঘের তালিকাভুক্ত হিসেবে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে। তবে অতিরিক্ত ত্রাণ সামগ্রীসহ রোহিঙ্গারা যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে জেনে ভারত থেকে রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসছে বাংলাদেশে। দালালদের মাধ্যমে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা আসছে উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে। শনিবার উখিয়ার কুতুপালং আশ্রয় শিবিরে এসেছে রোহিঙ্গা। খবর পেয়ে আর্মড পুলিশ তাদের আটক করে ক্যাম্প ইনচার্জের কার্যালয়ে সোপর্দ করেছে। ক্যাম্প ইনচার্জ তাদের টিভি রিলে কেন্দ্রের পাশে (কুতুপালং) ট্রানজিট ক্যাম্পে হস্তান্তর করেছে। ইউএনএইচসিআর ওই রোহিঙ্গাদের রেজিস্টারভুক্ত করে সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। শরণার্থী আইন অনুসারে এটি সম্পূর্ণ অবৈধ। কেননা তারা ভারতে আশ্রিত শরণার্থী। সেখানে ইউএনএইচসিআর তাদের তালিকাভুক্ত করেছে। তারা ভারতীয় রোহিঙ্গা শরণার্থী। এসব রোহিঙ্গা ২০১২-১৬ সালে রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল। বিশ্লেষকরা বলেন, তারা বাংলাদেশে আশ্রিত উদ্বাস্তু নয়। যেহেতু তারা ভারতে আশ্রয় শিবিরে তালিকাভুক্ত শরণার্থী, সেহেতু উখিয়ায় রেজিস্টারভুক্ত না করে বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ শেষে তাদের ভারতে পুশব্যাক করা উচিত ছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ভারত থেকে পালিয়ে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া দুই পরিবারের ৭ সদস্যকে আটক করেছে ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। শনিবার সন্ধ্যায় উখিয়া লাম্বাশিয়া ক্যাম্প-১ ইস্ট, ব্লক- এফ-১৪ থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হচ্ছে- শাহজান (২২), হামিদা বেগম (২১), ইব্রাহিম (৩), মোহাম্মদ তাহির (৩৩), আনোয়ার কলিম (২৫), সাইমা (৫) ও রমিনা (২)। তারা সবাই ভারত থেকে পালিয়ে এসেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ১৪ আমর্ড পুলিশের অধিনায়ক নাঈমুল হক বলেন, ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে ৭ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ভারত থেকে পালিয়ে আসার কথা স্বীকার করেছে। আটকদের ক্যাম্প ইনচার্জের (সিআইসি) কার্যালয়ে সোপর্দ করার পর ট্রানজিট ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, বাংলাদেশে আশ্রয় ক্যাম্পে অতিরিক্ত ত্রাণ পাওয়া যাচ্ছে খবরে ভারত থেকে পালিয়ে আসছে ভারতে জাতিসংঘের তালিকাভুক্ত এই রোহিঙ্গারা।
এর আগে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় এক পরিবারের ৬ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক আত্মীয়ের বাসায় আসার সময় চেকপোস্টে ১/ইস্ট, ব্লক- এফ/১২ এ ১৪ এপিবিএনের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক নাঈমুল হক পিপিএম জানান, ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ক্যাম্পে এক আত্মীয়ের বাসায় যাওয়ার সময় চেকপোস্টে কর্মরত এপিবিএনের সদস্যরা ৬ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে। মিয়ানমারের মংডু টাউনশিপের ফইরা বাজার এলাকায় বসবাস করত মোঃ সাইদ। গত ২০১২ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচারে মিয়ানমার থেকে ভারতের জম্মু চলে যায়। সে দিনমজুরের কাজ করত ভারতে। ওখানে আরও অন্তত ৩০০টি রোহিঙ্গা পরিবার আছে। বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গারা ভাল অবস্থায় থাকার খবর পেয়ে কুতুপালং ক্যাম্পে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। আটক রোহিঙ্গারা জানায়, জম্মু থেকে ট্রেনযোগে দিল্লী আসে। দিল্লী থেকে বাসে অসমের গুয়াহাটি হয়ে সেখানকার তার কাঁটা ছেদ করে বাংলাদেশের কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। জম্মু থেকে বাংলাদেশের সীমান্ত পর্যন্ত একজন ভারতীয় দালালের মাধ্যমে আসে। সীমান্ত পার হওয়ার সময় বিএসএফ এর হাতে ধরা পড়ে। বিএসএফ এর সদস্য তাকে পিটিয়ে ইউএনএইচসিআরের কার্ড নিয়ে নেয়। জম্মু থেকে বাংলাদেশে আসা পর্যন্ত দালালের সঙ্গে পুরো পরিবারের জন্য ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) রুপী দিতে হয়। কুমিল্লা সীমান্ত পার হয়ে হেটে ও সিএনজি করে কুমিল্লা রেলস্টেশনে আসে। তারপর ট্রেনে করে আসে চট্টগ্রাম শহরে। চট্টগ্রাম থেকে বাসে কক্সবাজার ও কক্সবাজার থেকে কুতুপালং পর্যন্ত বাসে পৌঁছেছে। কুমিল্লা সীমান্ত থেকেও এক বাঙালি দালাল কুতুপালং পর্যন্ত নিয়ে আসে। সে পুরো পথের ভাড়া দেয়। সে দালাল তার মোবাইলের সকল যাবতীয় তথ্যাদি মুছে দেয়। ইন্টারন্যাশনাল রোমিং ফাংশন চালু না থাকার দরুন অন্য কোনভাবে তথ্য পাওয়া যায়নি। সে জানায় ওখানকার সব রোহিঙ্গা পরিবার বাংলাদেশে চলে আসবে। ইতোমধ্যে অনেক পরিবার চলে আসছে। কুতুপালং ক্যাম্প সি আই সি তাদের ট্রানজিট ক্যাম্পে প্রেরণ করে। কুতুপালং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা মোঃ নুর জানান, বালুখালী, কুতুপালং ক্যাম্প ৯/৮/৬ /ইস্ট ও ৪ নং ক্যাম্পে ভারত থেকে পালিয়ে আসা কমপক্ষে ২ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।