কাজিরবাজার ডেস্ক :
ভারতে করোনা মহামারীর তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মাঝেই এবার কেরলে হানা দিয়েছে জিকা ভাইরাস। সতর্কতা জারি করেছে রাজ্য সরকার। ১৪ জনের ক্ষেত্রে মশাবাহিত জিকা ভাইরাস সংক্রমণের খবর আসার পর রাজ্যজুড়ে সব জেলায় সতর্কতা ঘোষণা করা হয়েছে।
রাজ্যের তিরুবন্তপুরম শহরে জিকা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ। আক্রান্তদের বেশিরভাগই স্বাস্থ্যকর্মী। শুক্রবার এক বিবৃতিতে বীনা জর্জ জানান, ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় ২৪ বছর বয়সী এক গর্ভবতী নারীর দেহে। তিনি কাছের তামিলনাড়ু রাজ্যের সীমান্তবর্তী একটি শহরের বাসিন্দা।
২৮ জুন ওই নারী জ্বর, মাথাব্যথা এবং শরীরে র্যাশ নিয়ে কেরলের তিরুবন্তপুরমের একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। ৭ জুলাই বুধবার একটি সন্তান জন্ম দিয়েছেন তিনি। তবে তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল। বাচ্চার জন্মও স্বাভাবিকভাবেই হয়েছে, এমনকি রাজ্যের বাইরে ভ্রমণের ইতিহাসও এই নারীর নেই। মৌসুমি বৃষ্টির ফলে জিকা ভাইরাস সংক্রমণের স্থানগুলোতে এই ভাইরাসবাহিত মশা বেড়ে যাচ্ছে বলে জানান বীনা জর্জ।
কেরলের স্বাস্থ্য সচিব ড. রাজন খোবরগাদে বলেন, রোগটি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা এবং নিবিড় নজরদারির জন্য রাজ্য সরকার জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব অঞ্চলে দল পাঠিয়েছে। ভারতে এর আগে ২০১৬-১৭ সালে পশ্চিমাঞ্চলীয় গুজরাট রাজ্যে জিকার প্রাদুর্ভাবের খবর পাওয়া গিয়েছিল। জিকা ভাইরাসের চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত তেমন কোন ওষুধ কিংবা টিকা নেই। ১৯৪৭ সালে উগান্ডার জিকা জঙ্গলে প্রথম এই ভাইরাস পাওয়া যায়। বানরের কাছ থেকে মানুষের দেহে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছিল। ১৯৫২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এটিকে পৃথক একটি ভাইরাস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ১৯৫৩ সালের এক প্রতিবেদনে ভারতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষ খুঁজে পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন গবেষকরা। এরপর ২০১৬-১৭ সালে গুজরাটের আহমেদাবাদ শহর থেকে জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার খবর আসে। সাধারণত এডিস ইজিপ্টি মশার মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়িয়ে থাকে। তবে এটি যৌন সংক্রমণের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে।