আল-হেলাল সুনামগঞ্জ থেকে :
সুনামগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং ও নানান অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে গ্রাহকরা। প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ বার লোডশেডিং হয়। তারপর মাস শেষ হতে না হতেই ভুতুড়ে বিল এসে হাজির হয়। বিদ্যুৎ ব্যবহার না করেও গ্রাহকদেরকে মাস শেষে গুণতে হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। এই ভুতুড়ে বিলের অত্যাচার দিনদিন বেড়েই চলেছে। এছাড়াও আরো নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে গ্রাহকরা। কিন্তু এসব সমস্যা দেখার কেউ নেই। তাই বিদ্যুৎ বিভাগের অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মানববন্ধন করছে ভুক্তভোগীরা।
এ ব্যাপারে ভোক্তভোগী গ্রাহকরা জানান- বিদ্যুৎ বিভাগের মিটার রিডারগণ তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় না গিয়ে অফিসে বসেই তাদের মনগড়া ভাবে বিদ্যুৎ বিল তৈরি করে গ্রাহকদের দিয়ে যাচ্ছে। তাদের এই অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদ করলে মামলার ভয় দেখায়। এছাড়া ট্রান্সফরমার ও বাসা-বাড়ির মিটার নষ্ট হলে গ্রাহকরা অফিসে টাকা জমা দিয়েও মাসের পর মাস হয়রানীর স্বীকার হতে হচ্ছে। আর নতুন মিটারের জন্য আবেদন করলে অফিসে মিটার নাই বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ বিভাগের এই অনিয়ম ও দুর্নীতি হর হামেশাই ঘটছে।
এ ব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট বাজারের কাপড়পট্টিতে অবস্থিত দোকান মালিক মোজাম্মেল আলম বলেন,করোনার কারণে আমার দোকান সব সময় বন্ধ থাকে। শুধু ময়লা পরিস্কার করার জন্য মাসে ১ দিন খোলা হয়। বাকি সময় বন্ধ থাকে। তাই বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়না। তারপরও আমার নামে এক মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৬ হাজার টাকা। এই বাজারে কাপড় ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন, কবির ভূঁইয়া, সুলতান মাহমুদসহ আরো অনেকেই বলেন,আমরা যে পরিমান বিদ্যুৎ ব্যবহার করি তার চেয়ে দ্বিগুণ বিল আসে। এ ব্যাপারে বারবার অভিযোগ করেও কোন লাভ হয় না। বরং এই অত্যাচার দিনদিন বেড়েই চলেছে। তাই এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ প্রধানমন্ত্রীর কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
পল্লী বিদ্যুতের এই অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে গত বুধবার (৯ জুন) বিকেলে ছাতক বিদ্যুৎ বিভাগের কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেছে ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ভুক্তভোগীরা। পল্লী বিদ্যুতের নির্বাহী প্রকৌশলীর অপসারণ দাবী করে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ইউপি সদস্য সালেহ আহমদ, ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান, আব্দুল হাই লায়েক, গ্রাহক আলী হোসেন, মিজানুর রহমান মিজান, সাজাউর রহমান লাল, সোলেমান মিয়া, মিলাদ হোসেন, মমিন মিয়া, সেলিম মিয়া, পাবেল মিয়া, রাসেল মিয়া ও শাহিন মিয়া প্রমুখ।