বিনামূল্যে কোভিড ও নন কোভিড রোগী পরিবহনের জন্য সিলেট হেলথ ডেভেলপম্যান্ট এন্ড এডুকেশন ট্রাস্ট (শেইড)-এর বহরে যুক্ত হলো আরেকটি এ্যাম্বুলেন্স। এ নিয়ে সংস্থাটির বহরে এ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা দাঁড়ালো তিন-এ। এর মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব মালিকানাধীন এবং একটি ভাড়ায় পরিচালিত।
করোনা রোগী পরিবহনের জন্য গত ৫ মে থেকে সিলেটের বিশিষ্ট আবাসন ব্যবসায়ী মুহাম্মদ দিলওয়ার হোসাইনের উদ্যোগে চালু হয় ফ্রি এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস। এরপর প্রাতিষ্ঠানিক হিসাবে এর নামকরণ করা হয় শেইড ট্রাস্ট। সংশ্লিষ্টরা জানান, ৫ মে থেকে ৫ আগষ্ট পর্যন্ত তাদের অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে ১১০ জন রোগী পরিবহন করা হয়েছে। লাশ পরিবহন করা হয়েছে ২৪টি। আর ট্রাস্টের স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে জানাযা ও দাফন হয়েছে ৭ জনের। এর পাশাপাশি রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ, চিকিৎসা সহায়তা ও অসহায় রোগীদের খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
এদিকে, সংস্থার বহরে নতুন অ্যাম্বুলেন্স যুক্ত হওয়া উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নগরীর ইউনাইটেড সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ট্রাস্টের সভাপতি, ভাষা সৈনিক অধ্যক্ষ মাসউদ খান বলেন, সবার দোয়া-সহযোগিতায় আমরা সামনের পানে এগিয়ে যেতে চাই। তিনি জানান, বিদ্যমান দুটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে রোগীদের চাহিদা পূরণ করা যাচ্ছে না। সে কারণে নতুন আরেকটি এ্যাম্বুলেন্স ক্রয় করা হয়েছে। আল্লাহর মেহেরবাণীতে তারা এ ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চান বলে জানান এ শিক্ষাবিদ।
ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মুনতাসির আলী জানান, ট্রাস্টের ৪৯ জন ট্রাস্টির এককালীন অনুদানের মাধ্যমে ক্রয় করা হয়েছে দুটি এ্যাম্বুলেন্স। ট্রাস্টিদের দৈনন্দিন খরচ থেকে প্রদত্ত অনুদানের মাধ্যমে পরিচালনা খরচ চালানো হচ্ছে। যতদিন করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থাকবে, ততদিন ফ্রি এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চলমান থাকবে বলে জানান তিনি। ফ্রি অ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি আগামীতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি সর্বোপরি আত্ম কর্মসংস্থান সৃষ্টি নিয়েও কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন তিনি।
ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ শেইড ট্রাস্টের মতো মহতি কাজে প্রবাসীদের আরো অংশগ্রহণ কামনা করেন।
ট্রাস্টের ম্যানেজিং ট্রাস্টি মুহাম্মদ দিলওয়ার হোসাইন জানান, ট্রাস্টিদের অনুদানে ২৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দুটি অ্যাম্বুলেন্স ক্রয় করা হয়েছে। মাসিক দুই লক্ষ টাকার পরিচালনা খরচ ট্রাস্টিদের অনুদানেই পরিচালিত হচ্ছে। এ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে এ পর্যন্ত দেড় শতাধিক কোভিড ও নন কোভিড রোগী পরিবহন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। বিজ্ঞপ্তি