স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটে হাত ধোয়াকে কেন্দ্র করে সহকর্মীর ছুরিকাঘাতে ইউ ওয়েন থাও সানক্সি (৪০) নামে এক চীনা নাগরিক নিহত হয়েছেন। পুলিশ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত চাও (৩৫) নামে অপর এক চীনা নাগরিক পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার (১৮ মে) সকালে নগরের পাঠানটুলায় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইউ ওয়েন থাও সানক্সি ও আটক চাও কুমারগাঁও ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে কাজ করতেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আবু ফরহাদ খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে কর্মরত ১২ জন চীনা নাগরিক নগরের পাঠানটুলায় এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। সকালে হাত ধোয়াকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে মারামারি হয়। এক পর্যায়ে চাও উত্তেজিত হয়ে ওয়েন থাও ধারালো ছুরি দিয়ে চাওকে গলার পেছনে ও উরুতে ছুরিকাঘাত করলে চাও ছুরি কেড়ে নিয়ে ইউ ওয়েন থাওকে বুকের বাম পাশে গুরুতর আঘাত করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ইউ ওয়েন থাওকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং চাওকে রাগিব রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইউ ওয়েন থাও সানক্সি মারা যান।
ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চীনা ওপর এক প্রকৌশলীর মাধ্যমে কথা বলিয়ে ঘটনাটি নিশ্চিত হতে পেরেছেন বলেও জানান ওসি ফরহাদ।
এদিকে এ ঘটনার পর দুপুর ১টার দিকে সিএমপি পুলিশ ও পিবিআই সিলেটের একটি দল ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের পর আলামত হিসেবে দু’টি ছুরি উদ্ধার করা হয়। মরদেহ সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বি এম আশরাফ উল্ল্যাহ ণ্ডজানান, নিহত ইউ ওয়েন থাও সানক্সির বুকের মাঝে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। তার দেহে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি জানান, মারামারির সময় ইউ ওয়েন থাও ধারালো ছুরি দিয়ে চাও এর গলার পেছনে, ডান পায়ের উরুতে আঘাত করে জখম করেন। চাও পরবর্তীতে ছুরি কেড়ে নিয়ে ইউ ওয়েন থাও এর বুকের বাম পাশে ছুরি দিয়ে সজোরে আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে আহত অবস্থায় তার সহকর্মীরা ইউ ওয়েন থাওকে চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত চাওকে জালালাবাদের রাগীব-বাবেয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে পুলিশ হেফাজতে তিনি চিকিৎসাধীন।